দ্রুত সময়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আশা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, সম্প্রতি মিয়ানমারের নির্বাচনে অং সান সু চির দল এনএলডি বিজয়ী হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সু চির সরকার এখন যথেষ্ট সময় হাতে পাচ্ছে। আমরা আশা করছি, সু চি তাদের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত নিয়ে তার বদনাম ঘোচাবেন।
শনিবার বিকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংক্ষিপ্ত সফরে গিয়ে বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন ও শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুইদিনের সফরে শনিবার বিকালে রাজশাহীতে যান। এর আগে সকালে নাটোরে উত্তরা গণভবন পরিদর্শন শেষে বিকালে তিনি রাজশাহী পৌঁছান।
সদ্যসমাপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হয়ে সরকার গঠন প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, কোনো যুদ্ধংদেহী ভাব প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকারের থাকবে না- এটা বিশ্ববাসী ও বিশ্ব নেতারা আশা করছেন। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতির বিপুল আশা ও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ূ পরিবর্তন ও অভিবাসী বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেনের সরকার আরও সোচ্চার হবেন। এ থেকে বাংলাদেশও লাভবান হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাইডেন সরকার মানবাধিকার বিষয়ে যথেষ্ট সংবেদনশীল। সুতরাং বাংলাদেশের প্রতিবেশি মিয়ানমারে যেখানে গণহারে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, সে বিষয়েও হয়তো বাইডেন সরকার ব্যাপকভাবে সোচ্চার হবেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাইডেন সরকার নতুন মাত্রায় বাংলাদেশের পাশে থাকবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে কয়েকটি বাসে আগুন দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি রাজনীতির কারণে এগুলো করে থাকেন তাহলে তারা ভুল পথে চলছেন। জড়িতদের নিশ্চয়ই বিচার হবে।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে শহীদ শামসুজ্জোহার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সিনেট হলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে রাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আবদুস সোবহান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সিএম জাকারিয়াসহ শিক্ষক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। রোববারও রাজশাহীতে কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে ঢাকায় ফিরবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।