স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পুলিশ অপরাধ করলেও ছাড় দেয়া হবেনা । তিনি বলেন, সিলেটের রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে ধরতে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। খুব শিগগিরই তাকে আমরা ধরে ফেলব। অপরাধ করে কেউ পার পাচ্ছে না। পুলিশও কোনো অপরাধ করে ছাড় পাবে না। তিনি আজ শনিবার টাঙ্গাইলে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু নির্দেশনা দিয়েছিলেন জনতার পুলিশ হতে। সেই লক্ষে পুলিশ বাহিনী জনগণের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের স্লোগান ‘জনতাই পুলিশ, পুলিশ জনতা’। এছাড়াও যে কোনো জাতীয় দুর্যোগে পুলিশ সামনে এসে দাঁড়ায়। করোনায় পুলিশের কার্যক্রম প্রশসংনীয়। করোনা আক্রান্তদের লাশ ও করোনায় আক্রান্তদের লাশ স্বজনরা রাস্তায় ফেলে গেলেও পুলিশ সেই লাশ উদ্ধার করে দাফন করেছে। এদেশের দৃশ্য শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর জনতা দেখেছে। অন্যদিকে পুলিশের জনবল বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীকে আরও দক্ষ করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা দু-একটি বিছিন্ন ঘটনার কথা বলেছেন। সেখানে পুলিশকে ছাড় দেয়া হয়নি। পুলিশ যেখানেই অন্যায় করেছে, যারাই আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করা হয়েছে। কোনো জায়গায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করার জন্য আমরা কাউকে ছাড় দেব না। সিলেটের আলোচিত ঘটনার প্রধান আসামি শনাক্ত হয়েছে। অতি শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে পুলিশ বাহিনীতে বৃহৎ আকারের হেলিকপ্টার যোগ করার প্রক্রিয়া চলমান। পুলিশের জন্য আধুনিক হাসপাতাল করা হয়েছে। করোনার মধ্যে অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছিল, নাজুক হয়েছিল সেখানে পুলিশ হাসপাতাল রোগীদের সেবা দিয়েছে। পুলিশ হাসপাতাল মানুষের বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করেছে। মন্ত্রী পরে ঘাটাইলের সাবেক এমপি মরহুম মতিউর রহমানের কবর জিয়ারতে উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের এমপি ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি আতাউর রহমান খান, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের এমপি হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।