গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক তারকা ফুটবলার বাদল রায়।
দিন দিন তার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। কিডনিতে ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছিল। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে তার শরীরের এক পাশ অবশ।
এবার জানা গেল, কীর্তিমান এই ফুটবলারের ক্যান্সার ধরা পড়েছে। তাও চতুর্থ ধাপে চলে এসেছে এই মরণব্যাধি রোগ।
বাদল রায়ের ক্যান্সার ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী মাধুরী রায়।
তিনি বলেন, ‘বাদল খুবই অসুস্থ। চিকিৎসকরা লিভারে ক্যান্সার শনাক্ত করেছেন। সবাই বাদলের জন্য প্রার্থনা করবেন।’
এ ছাড়া বাদল রায়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সাবেক তারকা ফুটবলার আবদুল গাফফার জানিয়েছেন, ‘বাদলের বেশ কয়েকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাজ করছে না। অবস্থা বেশ জটিল। চিকিৎসকরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’
জাতীয় দল ও মোহামেডানে বাদল রায়ের সাবেক সতীর্থ বলেন, ‘বাদলের অবস্থা অনেক খারাপ। ডাক্তার সিটিস্ক্যানের পর লিভারে ক্যান্সারের অস্তিত্ব পেয়েছেন। সেখান থেকে সুস্থ হওয়া কঠিন বলে দিয়েছে। বিদেশে নিলেও কোনো লাভ হবে না। এখন ওর শরীরে পানিও জমে গেছে মনে হচ্ছে। কথা স্পষ্ট নয় তার।’
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনের আগে করোনায় আক্রান্ত হন বাদল রায়। পরে সুস্থ হয়ে উঠলেও শারীরিক দুর্বলতার কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
নির্বাচন শেষে ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন তিনি। এর পর থেকেই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন।
আশির দশকে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন বাদল রায়। জাতীয় দলেরও অধিনায়ক ছিলেন। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে বাফুফের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। এর পর টানা তিনবার সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।