কুমিল্লার তনু হত্যা মামলাটি চার বছর আট মাস পর পিবিআইতে

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু (১৯) হত্যা মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তনু হত্যাকাণ্ডের পর গত প্রায় চার বছর আট মাসে আলোচিত এই মামলাটির চারবার তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন হয়েছে। আর মামলাটি তদন্তের জন্য পাঁচজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পেয়েছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের কোনো খুনি শনাক্ত হয়নি। মামলারও বিশেষ কোনো অগ্রগতি হয়নি। 

২০১৬ সালের ২০ মার্চ কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের অভ্যন্তরের একটি জায়গা থেকে তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর পুলিশ, পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এবং সবশেষ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটি তদন্ত করে।পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম আজ বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, গত ২১ অক্টোবর পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় মামলাটি পিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আদালতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে নিজ বাসা থেকে ২০০ গজ দূরে তনুর লাশ পাওয়া যায়। পাশেই ছিল তাঁর জুতা, ছেঁড়া চুল, ছেঁড়া ওড়না। তনু কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের ভেতরে অলিপুর এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তাঁর বাবা ইয়ার হোসেন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।

হত্যাকাণ্ডের পর তনুর বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, ২০ মার্চ সন্ধ্যায় টিউশনির জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তনু। পরে বাসায় ফিরে না আসায় তাঁকে খোঁজাখুঁজি করে পরিবারের সদস্যরা। রাতে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন কালভার্টের পাশে ঝোপের মধ্যে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। এই হত্যাকাণ্ডের পর সারা দেশে সমালোচনার ঢেউ উঠে। এর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও দেশবাসী তনু হত্যাকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচার দাবি করে । 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here