করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর রহমান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বিকাল ৪টার দিকে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলেসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে মাথা ব্যথা নিয়ে রাজশাহী মহানগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর রহমান। এরপর গত বৃহস্পতিবার তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। সেদিনই তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপর তিনি একটি কেবিনে ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরদিন শুক্রবার তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। পরদিনই তিনি মারা গেলেন।
মুনসুর রহমান রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প বিষয়ক সম্পাদক। পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার শ্রীপুর মহল্লার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। তার বাবার নাম হামিদ সরকার। দুই মাস আগে মুনসুর রহমানের ছোটভাই আনিসুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল আকতার জানান, কয়েক দিন আগেই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মুনসুর রহমান কারোনায় আক্রান্ত হন। তবে তিনি বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। রোববার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মুনসুর রহমানের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস ছিল।
উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর রহমানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন- রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী, সাধারণ সম্পাদক মাজদার রহমান সরকার, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইসলাম, নওহাটা পৌর যুবলীগ সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক প্রমুখ।