করোনার কঠিন পরিস্থিতির কারণে বাইরে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার না করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করানোর জন্য ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। সরকারী এক নির্দেশনায় আরও বলা হয়, জরুরি কাজে কেউ ঘরের বাইরে গেলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে তাঁকে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য সরকার বারবার নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, অনেকেই এ নির্দেশনা অমান্য করছেন।
আর প্রয়োজনে প্রত্যেককে দুটি মাস্ক ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে সরকার। সোমবার সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। এর আগে ইউনিভার্সিটি অব ক্যারোলাইনার এক গবেষণা বলছে, জোড়া মাস্ক পরলে সার্স-কভ-২ ভাইরাসের ক্ষুদ্র কণা প্রবেশের শঙ্কা কমে যায়। জোড়া মাস্ক পরার কারণে নাক ও মুখ দিয়ে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে না। গবেষণাপত্রটি জেএএমএ ইন্টার্নাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। জোড়া মাস্কের জায়গায় একটি মাস্কের ভেতরেই কাপড়ের স্তর বাড়িয়ে দিলে একই সুরক্ষা হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে গবেষণায় বলা হয়, কাপড়ের স্তর বাড়ালেই যে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারবে না বিষয়টি এমন নয়; বরং দুটি মাস্ক পরলে ওপরের মাস্কটি নিচের মাস্কের অরক্ষিত অঞ্চল ঢেকে রাখে, এতে ঝুঁকির মাত্রা কমে যায়। এছাড়া মাস্ক যদি হয় তিন স্তর বিশিষ্ট, তাহলে উভয় মাস্কের মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গাটি ভাইরাস আটকানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে গবেষণা উল্লেখ করা হয়। কাপড় দিয়ে তৈরি করা মাস্ক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ৪০ শতাংশ কার্যকরী। কিন্তু জোড়া মাস্ক পড়লে এ কার্যকারিতা বেড়ে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।


















