আগামী ২৬ মে, ২০২৫ই! তারিখে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রপক্ষের ‘লিভ টু আপিল’ আবেদনের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চে আবেদনের ওপর প্রথম দিনের আংশিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী দিন ধার্য করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল জব্বার ভুঁইয়া, মো. আরশাদুর রউফ ও ব্যারিস্টার অনিক আর হক। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট শিশির মনির।
এর আগে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলার রায় দেয়। তাতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন ও আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
গত বছরের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ ওই রায় দেন। হাইকোর্টে আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শুরু হয় ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর। বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে দীর্ঘ শুনানির পর ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর মামলার সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেওয়া হয়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত হন, আহত হন কয়েকশো নেতা-কর্মী। আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য রক্ষা পান।
এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে অধিকতর তদন্ত শেষে বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করে।
হাইকোর্টের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ‘সম্পূরক চার্জশিটের ভিত্তিতে ফৌজদারি বিচার ইতিহাসে এমন সাজা নজিরবিহীন ছিল। হাইকোর্ট সেই বিচারে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে।’
রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, এত বড় হত্যাকাণ্ডে সবাই খালাস পেতে পারে না। তারা চূড়ান্ত আপিলে যাবেন। ২৬ মে শুনানির পর পরবর্তী আইনি পথ উন্মুক্ত হবে।