সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিমকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বোরখা পরিহিত সন্ত্রাসীরা। রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটে।
তাকে প্রথমে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। র্যাব, পিবিআই ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
চেয়ারম্যানের ভাই আব্দুর রহমান বাবু জানান, তার ভাই চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম রাত সাড়ে ৭টার দিকে কয়েকজন চৌকিদার ও দফাদারকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে কথা বলছিলেন। এমন সময় বোরকা পরিহিত ৪ থেকে ৫ জন তাকে বাইরে আসতে বলে। তিনি চেয়ার ছেড়ে কক্ষের বাইরে আসতেই তাকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি করে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে তার মাথায় ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
চেয়ারম্যানের চিৎকারে এলাকাবাসী ও চৌকিদারদের ধাওয়ার মুখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে সকালে তাকে খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ওসি শহীদুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা আগামী ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হতে পারে। ঘটনার তদন্তে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। আহত চেয়ারম্যান শ্যামনগর উপজেলার জয়াখালি গ্রামের শেখ আবু দাউদ মাষ্টারের ছেলে।
