“মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিন”
আমাদের প্রতিটি মানুষের বাচাঁর জন্য তিনবেলা খাবার একান্ত জরুরী। আর কোন রোগ হলে সেই রোগ থেকে বাচাঁর জন্য গুনগত মান সম্পন্ন ঔষধ শেবন করা। আজ কতিপয় অসাধু ব্যবসায়িরা তাদের মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে বিভিন্ন হোটেল ও রেষ্টুরেন্টে পঁচা ও বাসি ভাবার বিক্রি করছে। বিভিন্ন খাবারের পন্যে ক্ষতিকারক জিনিষ মেশানো হচ্ছে। যা মানুষের শরীরের জন্য প্রবেশ করে এবং মানুষ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে ধুকে ধুকে মারা যায়। বেশ কিছুদিন পূর্বে মহামান্য হাইকোর্ট এর আদেশ বলে ৫২টি পণ্য বাজার হতে প্রত্যাহার করার এক বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেন। যার মধ্যে পানি , সরিষার তেল, লাচ্ছা সেমাই হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া,আয়োডিন যুক্ত লবন, ঘি, ধনিয়া গুড়া, নুডলস, ময়দা, ফারামেন্টেড মিল্ক (দই), চানাচুর, বিস্কুট, সুজি মধু, বাচ্চাদের চিমস। এই পন্যগুলো আবারও বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এখন ঐসব পন্যের গুনগত মান ঠিক আছে কিনা সেই বিষয়ে ভোক্তাদের সন্দেহ আছে।
যে সকল নামি দামী কোম্পানী নিন্মমানের খাদ্য দীর্ঘদিন বাজারজাত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আর সাধারন মানুষকে তাদের পন্য খাবার কারনে অসুস্থ্য বানিয়েছে, তাদের পন্য শুধু বাজার হতে প্রত্যাহার করলেই হবে না। এদেরকে সাধারন জনগনের সামনে জবাবদিহি করতে হবে এবং তাদের এই নিন্মমানের পন্য খেয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরন দিতে হবে। বিএসটিআই হতে মান নিয়ন্ত্রক করে নিন্মমানের পন্য বাজারজাত করার জন্য তাদের নিরব খুনী হিসাবে চিহ্নিত করা উচিত। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ এদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। কঠিন শাস্তি ছাড়া এই জগন্য অপরাধ রোধ করা সম্ভব হবে না। প্রবাদ বাক্যের মত “সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠে না, আঙ্গুল বাকা করতে হয়।” প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন আদালতে খুন ধর্ষণ সহ নানাবিধ অপরাধের শাস্তির রায় হয়, তার পরও অপরাধীরা অপরাধ করেই যাচ্ছে, তাদের অপরাধ করার সময় মনেই থাকেনা যে, অপরাধ করে কেউ কখনো রেহাই পায় না। একদিন না একদিন সকল অপরাধের শাস্তি অপরাধী পেয়ে থাকে। সকল মানুষের নিরাপদ জীবন এবং সুস্থ্য জীবনের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে, যে সকল অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের জন্য সাধারন মানুষের নিরাপদ জীবন এবং সুস্থ্য জীবনের পথে অন্তরায় হয়ে দাড়িঁয়েছে তাদের এত সহজে ছেড়ে দেয়া উচত নয়। অভিযুক্ত কোম্পানীর লাইসেন্স বাতিল করা উচিত। সড়ক দূর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে তাই সড়ক দূর্ঘটনা কমাতে যেমন দূর্ঘটনা কবলিত বাস কোম্পানীর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং অপরাধীর সাজা হচ্ছে এবং কোম্পানীর রুট পারমিট বাতিল করা হচ্ছে, তেমনী নিন্মমানের খাদ্য দীর্ঘদিন বাজারজাত করে মানুষের শরীরে বিষ ডুকিয়ে দিয়ে মানুষকে অসুস্থ্য বানিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সেই সব কোম্পানীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা উচিত। এরা নিরব ঘাতক। অপর দিকে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রন্ত হবার পর ঔষধ কিনে খেয়ে সুস্থ্য হতে চাচ্ছে, সেখানে ও মেয়াদ উত্তীর্ন ঔষধ অথাৎ বিষ বিক্রি করছে ঔষধ বিক্রেতারা। এবং বিভিন্ন কোম্পানী নিন্মমানের ঔষধ সরবরাহ করছে বিভিন্ন দোকানে।
নিন্মমানের খাদ্য দীর্ঘদিন খাওয়ার ফলে সাধারন মানুষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। নিন্মমানের চিপস গুড়া দুধ খেয়ে শিশুরা প্রতিবন্ধী হয়ে যাচ্ছে। আমরার আজ অর্থ উপার্জনের স্বাথে এতই বিবেকহীন হয়ে পরছি যে মেয়াদ উত্তীর্ন ঔষধ বিক্রি করতে, নিন্মমানের পঁচা বা বাসিঁ খাদ্য দ্রব্য তৈরী করতে আমাদের বিবেকে একবার ও বাধ দিচ্ছে না। মেয়াদ উত্তীর্ন ঔষধ ও মেয়াদ উত্তীর্ন খাদ্য দ্রব্য কারা খাচ্ছে বা সেবন করছে, তারাও আপনাদের কাহারো আতীয়স্বজন। নিজের ব্যাক্তি স্বার্থের জন্য, অবৈধ সম্পদ অর্জন করার জন্য নিরীহ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার আগে একবার ভাবুন। আপনার য মেয়াদ উত্তীর্ন ঔষধ বা নিন্মমানের পঁচা বা বাসিঁ খাদ্য দ্রব্য হয়তবা একদিন আপনার সন্তান কিনে খাবে তখন হয়তবা আপনার বিবেক জাগরত হবে, সেই দিন অনেক কিছু হয়তবা শেষ হয়ে যাবে। আপনাদের কাছে আকুল আবেদন মেয়াদ উত্তীর্ন ঔষধ বিক্রি করা এবং নিন্মমানের পঁচা বা বাসিঁ খাদ্য দ্রব্য তৈরী বন্ধ করুন।