গতকাল রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কার্যালয়েে সংবাদ সম্মেলনের মধ্যেই প্রতারকচক্রের মোবাইল নম্বরে ৬০ লাখ টাকা জমা হওয়ার মেসেজ আসে। এমন প্রতারণার অভিযোগে গত ২৬ অক্টোবর মিরপুর ডিওএইচএসে অভিযান চালিয়ে সোপান প্রপার্টিজ লি. এর মুল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। এক লাখ টাকা বিনিয়োগে প্রতিদিন ১৩০০ টাকা লাভ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে প্রায় দেড় হাজার মানুষের কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই প্রতারক চক্র। সোপান প্রপার্টিজ লি. নামের একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে তারা এসব টাকা হাতিয়ে নেয়। অনলাইনের মাধ্যমে কার কত টাকা মূলধন ও কত টাকা লভ্যাংশ তা দেখানোর ব্যবস্থাও করে চক্রটি। তারা হলেন- গাজী মহিউদ্দিন, আনিছুর রহমান ও হারুনুর রশীদ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি কম্পিউটার, নগদ ৪৭ হাজার ৪০০ টাকা ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতারণার ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ৫৯৪ টাকা জমা পাওয়া গেছে। গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য চক্রটি রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় অফিস নিয়ে এই কাজ করত। গত আট মাসে মূলধনসহ ২৫০% লভ্যাংশ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে সদস্য সংগ্রহ করে এমএলএম ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল চক্রটি। তারা সরকারি চাকরিজীবী ও তুলনামূলক ধনী ব্যক্তিদের টার্গেট করে সদস্য বানাত। ওয়েবসাইটে ওরা গ্রাহকদের লগইন করার ব্যবস্থাও রাখে। বিভিন্ন প্যাকেজে লভ্যাংশও দিত। একজন সদস্য আরও তিনজনকে নিয়ে এলে তাকে ১০% বোনাসসহ ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত লাভ দিত। এভাবে তিন মাসে ১ হাজার ৪২৭ জনের কাছ থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। এই সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগ মুহূর্তে চক্রের হোতার মোবাইল নম্বরে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ৬০ লাখ টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হওয়ার মেসেজ আসে।