ঢাকার মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বেওয়ারিশ কুকুরের বাচ্চা প্রসবের কারনে বিভিন্ন এলাকায় কুকুরের আক্রমাত্নক রুপ প্রকাশ পাচ্ছে। বিশেষ করে বস্তি এলাকার বাচ্চারা খেলার ছলে কুকুরের বাচ্চা নিয়ে খেলা করতে যায়, আর তখনই কুকুর বাচ্চাদের আক্রমন করে। আবার বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় পলিথিন ব্যাগে করে খাবার নেওয়ার সময় কুকুর হঠাৎ করে আক্রমন করে খাবার ছিনিয়ে নিচ্ছে, এতে করে কুকুরের পায়ের নোখের আছর লাগছে। অনেক সময় বিভিন্ন রাস্তায় শুয়ে থাকা কুকুরের গায়ে আঘাত লাগায় কুকুর অনেককে কামাড় দিয়ে থাকে।ঢাকার অলিগেলিতে শরীরের চামড়া উঠে যাওয়া, অসুস্থ্য কুকুরের সংখা বেড়ে গেছে।

গত ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ঢাকার মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে গিযে দেখা যায় কুকুর ও বিড়ালের আক্রমনের স্বীকার রোগীর লম্বা লাইন। হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। ৫ ডিসেম্বর ৩০৮ জন রোগী নুতন রোগী কুকুর ও বিড়ালের আক্রমনের স্বীকার হয়ে টিকা নিতে এসেছিল। এদের মধ্যে বেশীরভাগ রোগী কুকুরের কামড়ের ও আঁচরের স্বীকার। ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২ টা নাগাদ ১১০ জন নতুন রোগী এসেছে। ঢাকার মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল সুত্র থেকে জানা যায়, কুকুর ও বিড়ালের আক্রমনের স্বীকার হলে এই হাসপাতাল হতে ১০ টাকা টিকেট নিতে হয়। তারপর ক্ষত স্থান ভালভাবে সাবান দিয়ে ২০-৩০ মিনিট ধুতে হয়। তারপর চিকিৎকের পরামর্শ নিতে হয়। তারপর চিকিৎসকের প্রেসকিপশন অনুযায়ী বিভিন্ন আলাদা তারিখে ৪টা টিকা নিতে হয়। এই ৪টা টিকা সরকারীভাবে বিনামূল্যে দেয়া হয়।