বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলালকে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিশেন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার হেলালকে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেছেন সংগঠনের ৬২৫ জন শিক্ষক।মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের পক্ষে বলা হয়, এমনিতেই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে বিরোধীদের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। প্রতিনিয়ত দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ, গুম খুন অব্যাহত রয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যারিস্টার মীর হেলালকে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় প্রমাণিত হয় এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইউট্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হলে কখনো সুবিচার আশা করা যায় না। এই সরকার বিচার বিভাগের ওপর যে প্রভাব বিস্তার করেছে অতীতে তার নজির রয়েছে। এই ঘটনায় দ্বিমুখী ও ষড়যন্ত্রমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং এ ধরনের অপতৎপরতা বন্ধের আহ্বান জানান। সেইসাথে অবিলম্বে মীর হেলারের বিরুদ্ধে আদালতের সাজা বাতিল করে তাকে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান ইউট্যাবের শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। ইউট্যাবের বিবৃতি দাতা শিক্ষকদের অন্যতম হলেন- সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান, ড. ফরিদ আহমেদ, অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদ, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম মজুমদার, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেছানী, ড. গোলাম রব্বানি, ড. মাহফুজুল হক, ইসরাফিল প্রামাণিক রতন, ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী (চবি), ড. এম এ বারি মিয়া, অধ্যাপক খায়রুল (শাবিপ্রবি), অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম (জাবি), অধ্যাপক ড. সাব্বির মোস্তফা খান (বুয়েট), অধ্যাপক তোজাম্মেল (ইবি) প্রমুখ।