রগুনার বেতাগী উপজেলায় করুনা মোকামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও মোকামিয়া দরবার শরিফের বর্তমান পীর শাহ মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মোকামিয়া মাদ্রাসা বাজারের চৌরাস্তার পাশে মাহফিলের মধ্যে এক ব্যবসায়ীকে চড়থাপ্পড় মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, গত সোমবার বিকাল থেকে দুদিনব্যাপী বার্ষিক ইছালে সওয়াব মাহফিল শুরু হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পরিদর্শনে বের হন পীর ফেরদৌস। এ সময় রাস্তার পাশে খেলনার দোকান দেখে ক্ষেপে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকান খুলতে নিষেধ করেন তিনি। কিছু সময় পর এসে দোকান খোলা দেখে আবদুর রাজ্জাক নামে এক ব্যবসায়ীকে চড়থাপ্পড় শুরু করেন এবং মাদ্রসায় পড়ুয়া ছাত্রদের তার দোকানের মালামাল (খেলনা) নিয়ে যেতে নির্দেশ দেন। এ সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তার পাশের সব ক্ষুদ্র খেলনার দোকান থেকে তাদের মালামাল নিয়ে আসতে বলেন। রাস্তার পাশে দোকান নিয়ে বসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমি পীরসাহেব ও অধ্যক্ষের কাছে হাত জোর করে মাফ চাইছি; তার পরও চোপর(থাপ্পর) মারছেন। পরে তার সঙ্গে থাকা পোলাপান (ছাত্ররা) মোর (আমার) সামনে থাইক্কা (থেকে) যার যা মনে লইছে (পছন্দ হয়েছে) লইয়া আডা দেচে (নিয়ে হেঁটে চলে গেছেন)। হাত-পা ধরার পরও হুজুরে দোকানের মালগুলো ফেরত দেয়নি। দোকানে বিক্রি করার মতো কোনো মালামাল নাই।
প্রত্যেকটা দোকান থেকে মালামাল নিয়ে গেছে। দোকানদারি যদি অন্যায় হতো; বলত দোকান বন্ধ করে দিতাম। এ জন্য ছাত্রদের দিয়ে মালামাল নিয়ে যাবে, মারধর করবে।
এ ছাড়া নাম না প্রকাশের শর্তে, এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, আগেও ওই পীরের বিরুদ্ধে মানতের ছাগলের টাকা হাতে না পাওয়ায় বাবুর্চিকে পেটানো, বিভিন্ন সময়ে নানা কৌশলে অবৈধভাবে জমি দখলসহ মোকামিয়া দরবারে দান করা অর্থ আত্মসাতের এমন একাধিক অভিযোগ আছে।
এমন অভিযোগের ব্যাপারে করুনা মোকামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও মোকামিয়া দরবার শরিফের বর্তমান পীর শাহ মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস বলেন, মাহফিলের মধ্যে দোকান দিলে লোকজন হাঁটাচলা করে অসুবিধা হয়। আর খেলনার দোকান থাকলে বাচ্চারা আসে; ভিড় হয়, আর তাই দোকান বন্ধ রাখতে বলেছি। ছাত্ররা মালামাল (খেলনা) আনতে পারে, আমার জানা নেই।মারধরের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান এবং বলেন, এ ব্যাপরে আমি কিছু জানি না।বেতাগী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, মাহফিলে ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।