হাটহাজারীতে মিনিবাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মুসা সওদাগর (৭৭) নামে এক ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ২০ ফুট দূরে নিয়ে যায় মিনিবাসটি।
মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের বড়দীঘিরপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ মানুষ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
মুসা সওদাগর উপজেলার উত্তর মার্দাশা ইউনিয়নের বদিউল আলমেরহাট আলী মেম্বারের বাড়ির মৃত সোনা মিয়ার পুত্র। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার উত্তর মার্দাশা এলাকায় হলেও তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে আমানবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তিনি চট্টগ্রামের টেরিবাজারের কাপড়ের ব্যবসায়ী ছিলেন।
জানা গেছে, ওই দিন ভোরে নিহত মুসা সওদাগর ফজরের নামাজ পড়ে আমানবাজার এলাকা থেকে বড়দীঘিরপাড় হয়ে সুলতান নশরত শাহ জামে মসজিদের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় চট্টগ্রামমুখী একটি মিনিবাস তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ২০ ফুট দূরে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মুসা নিহত হন।
এ ঘটনায় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা উক্ত মহাসড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকা পড়ে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় অনেককে হেঁটে কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পুনরায় গাড়িতে উঠে গন্তব্যে পৌঁছতে দেখা গেছে।
খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব শর্মা জানান, সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে পুলিশের আশ্বাসে দুই ঘণ্টা পর স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা অবরোধ সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘটনাস্থলে জনতা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসটি আটকে রাখলেও চালক ও সহযোগী পালিয়ে যান।