ঢাকার আশুলিয়ার কাইচাবাড়ি এলাকার একটি বাড়ির বাইরে প্রতিদিন ক্যারম বোর্ড খেলা চলত। আর এই খেলার আড়ালে বাড়ির ভেতরে চলত ক্যাসিনো বোর্ড বসিয়ে জুয়া খেলা। এতে অংশ নিত নিম্ন আয়ের মানুষ। এখানে প্রতিরাতে ১০-১৫ লাখ টাকার জুয়া খেলা হয় হতো। জুয়াড়িদের চাঙ্গা রাখতে ছিল মাদক সেবনের ব্যবস্থা। গত দেড় বছর এভাবেই চলে আসছিল। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিছুর রহমান ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজলের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। রোববার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর পাইকপাড়ায় র্যাব-৪-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪) শনিবার রাতে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ওই জুয়ার আসর থেকে ২১ জনকে আটক করে। এ সময় ১০০ পিস ইয়াবা, ১২ ক্যান বিদেশি বিয়ার, ২২টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৩৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। র্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানায়, তারা জুয়ার আসরে জনপ্রতি সর্বনিন্ম ১০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত খেলত। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জুয়ার আসরও জমে উঠত। জুয়ার আসর পরিচালনায় প্লাবন হোসাইন ও ওমর ফারুক নামে দুই ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে। তারা দু’জনই মালিক। দু’জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আটক ব্যক্তিরা হল : জামালপুরের মো. বিল্লাল (৩৮), সবুজ মিয়া (২৮) ও শিপন (২০); ঢাকার মো. জুয়েল (২৮), মইদুল ইসলাম (৩২), মো. শরিফ (২৮), মো. এখলাছ (৩৫), মঈন মিয়া (২৮) ও দিয়াজুল ইসলাম (২০); টাঙ্গাইলের মো. লিটন (৪৫), ফরিদপুরের রবিউল মোল্যা (২৪), গাইবান্ধার আবু তালেব (২০), রংপুরের আবদুল আলিম (৩৫), জয়পুরহাটের আজাদুল ইসলাম (৫০), রাজবাড়ীর সোহেল মোল্যা (৩২), গাইবান্ধার আসাদুল ইসলাম (৩০) ও হাবিবুর রহমান (৪৭); নাটোরের মাসুদ রানা (২০), ময়মনসিংহের রুবেল মিয়া (৩৩), বরিশালের ফজলে রাব্বি (২২) ও নোয়াখালীর রনি ভূঁইয়া (২৫)। মোজাম্মেল হক বলেন, ওই আসরে প্রতিরাতে ১০-১৫ লাখ টাকার জুয়া খেলা চলত। খেলতে আসাদের বেশিরভাগই নিæ আয়ের মানুষ। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই সেখানে জুয়া খেলা হয়। বাইরে ক্যারম বোর্ড প্রদর্শন করে ভেতরে চলত জুয়া খেলা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার সময় হাতেনাতে ২১ জনকে আটক করা হয়।