Friday, November 28, 2025
Homeঅপরাধসাভারে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে বন্ধুকে হত্যা করে সজীব

সাভারে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে বন্ধুকে হত্যা করে সজীব

ঢাকার আশুলিয়ায় বন্ধুর মুঠোফোন ছিনিয়ে নিতে দুই বন্ধু মিলে সোহেল রানা (১৭) নামে এক যুবককে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে দুই বন্ধু মিলে সোহেল রানার লাশ আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে ফেলে যায়।

এ ঘটনার ১০ দিন পর সোহেলের বন্ধু সজীবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

নিহত সোহেল রানা আশুলিয়ার গৌরিপুর এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

আশুলিয়া থানার এসআই  জসিম উদ্দিন বলেন, গত ১০ নভেম্বর সোহেল রানা নিখোঁজের ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা শফিকুল ইসলাম।

নিখোঁজের ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, নিখোঁজ সোহেল রানার দুই বন্ধু অজ্ঞাত কারণে কয়েক দিন ধরে বাড়িতে থাকে না। এ ঘটনায় তাদের ওপর সন্দেহ বেড়ে গেলে প্রায় ১০ দিন পর তার বন্ধু সজীব আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সজীব পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল রানাকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে সোহেল রানার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার একটি জঙ্গল থেকে নিখোঁজ সোহেল রানার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তারা তিনজনই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। পূর্বের মনোমালিন্য ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয়ার জন্য সোহেল রানাকে ১০ নভেম্বর রাতে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ জঙ্গলে ফেলে দেয় বন্ধুরা।

গ্রেফতারকৃত সজীব আহমেদ পাবনা জেলার শাজাহানপুর থানার শহীদুল ইসলামের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তার বন্ধু পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সোহেল রানার বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার জন্য আমার ছেলেকে তার দুই বন্ধু মিলে নির্মমভাবে গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। আমি তাদের ফাঁসি দাবি করছি।

আশুলিয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, সোহেল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করে রোববার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জড়িত অন্যজনকে গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে এবং এ ঘটনায় নিহতের বাবা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য