মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিন
লালমোহনের কৃষি ব্যাংকের কৃষি ঋন বিতরনের অনিয়মের উপর সংবাদ প্রকাশের দুই তিন পর কৃষি বাংকের এক কর্মচারী আমাকে জানালে ব্যাংকের ম্যানেজার আমাকে স্মরন করেছে। আমি ব্যাংকে গেলাম এবং ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে দেখা করতে যাওয়ার সময় ব্যাংকের সামনে সেই দালালকে দেখলাম, দালাল আমাকে দেখে চমকে গেলা। ম্যানেজারের কক্ষে প্রবেশ করলাম। বয়স্ক ভদ্রলোক আমার সাথে আন্তরিকতার সাথে আলাপ করে বললেন, কৃষি ব্যাংক হতে ৩,০০০/- টাকা ঋন নেওয়ার সময় আমাকে ৫০০/- দিতে হয় যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে একথা সত্য নয়। আমি ঋন এ কাগজপত্রে স্বাক্ষর করার সময় কোন টাকা নেই না। এ সময় ঋন বিতরনের দায়িত্বে থাকা অফিসারও বলল আমার নামে একই কথা বলা হয়েছে। আমি যে টাকা নেই তারও কোন প্রমান নেই। আমি তখন হঠাৎ করে ব্যাংক থেকে বেরিয়েই সেই দালালকে পেলাম এবং তার হাত ধরে ম্যানেজারের সামনে নিয়ে বললাম এই লোক আমাকে বলেছে। ঋন বিতরনের দায়িত্বে থাকা অফিসার দালালকে দেখে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল, তার মুথ থেকে আর কোন কথা বের হলো না। ম্যানেজার আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল তিনিও দালালকে এভাবে দেখতে পাবেন বুঝতে পারেননি।
ম্যানেজার ঋন বিতরনের দায়িত্বে থাকা অফিসারকে ধমকের সুরে বললেন, আপনারা আমারকে মান সম্মান নিয়ে চাকুরি করেত দেবেন না। দালালকে দেখিয়ে বললেন এসব লোকদের আমি যেন আর ব্যাংকের ত্রিসীমানায় না দেখি, তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। দালাল ও অফিসার দু’জনকে ম্যানেজার তার রুম থেকে বের করে দিলেন। কলিং বলে টিপে পিয়নকে বললেন চা ও বিস্কুট দিতে বললেন। ম্যানেজার আমাকে বললেনম এসব অফিসাররা আমার নাম নিয়ে টাকা নেয় কিন্তু আমি জানা না। বুঝতেই তো পারছেন সব দিক খেয়াল রাখা যায় না।
আমাকে সংবাদের প্রতিবাদ লেখা একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে অনুরোধ সহকারে বললেন, আমার বক্তব্য সহকারে ঐ সংবাদের একটা প্রতিবাদ প্রকাশের ব্যবস্থা করলে খুশী হব। আমি আপনাকে আশ্বাস দিচ্ছি, ভবিষ্যতে আমি আমার ব্যাংকে কৃষি ঋন বিতরনে কোন প্রকার অনিয়ম প্রশয় দেব না। আমি খামের ভেতরে তার বক্তব্যের কপি নিয়ে চলে আসলাম। কিন্তু সংবাদের প্রতিবাদ প্রকাশের ব্যবস্থা করলাম না। চলবে—-