এস মেজবাহউদ্দিন,
রমজান মাস মুসলিম সমাজ ও রাষ্ট্রের একটি পবিত্র মাস। রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করা এবং সকল মানুষ যাহাতে পবিত্র রমজান মাসের রোজা রাখতে পারে সেই জন্য সকলের সহযোগিতা করা প্রতিটি মুসলমানের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। সেই জন্য সৌদি আবর, কাতার, মিশর সহ অনেক মুসলিম দেশের ব্যবসায়িরা রমজান মাস আসলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য হ্রাস করার ব্যবস্থা করে। যাহাতে সকল শ্রেনীর মানুষ প্রতিদিন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করে রোজা রাখতে পারে। বিগত ১১ মাস যে পন্যের উপর বেশী লাভ করেছে, সেই পন্যের মূল্য কমিয়ে দিয়ে কম লাভ করে। ৩০% থেকে ৫০% পর্যন্ত পন্যের উপর ছাড় দেয়।
আমাদের বাংলাদেশ দেশের ব্যবসায়ীরা কি তা অনুস্বরন করতে পারে না? আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়লে বাংলাদেশে ও তেলের দাম বাড়ে, কিন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে বাংলাদেশে তেলের দাম কমেনা। স্বর্নের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে বাংলাদেশে ও বাড়ে, এবং স্বর্নের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলে বাংলাদেশে কমে। ডলারের দাম ও উঠানামা করে। তাহলে একটি মুসলিম দেশের ব্যবসায়ী হয়েও কেন তারা রমজান মাসে ফেরাউনের মত ব্যবসায়ী হয়ে উঠে। সাধারন মানুষের ধারনা অসাধু সিন্টিকেট ব্যবসায়ীর কাছে সরকার জিম্মি।
সরকার বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়েও ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত ব্যবসা করার প্রবনতা রোধ করতে পারছে না।
চিহ্নিত কিছু অসাধূ সিন্টিকেট ব্যবসায়ী বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের নিয়মিত মাশোহারা দিয়ে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী যখন তখন তেল পেয়াজ, সোলা সহ কাঁচামালের দা বাড়িয়ে দেয়। ফলে মনে হয় দেশটাকে তারা মগের মুল্লুক পেয়েছে।
ইসলামে ব্যবসা করা হালাল। কিন্তু মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের লক্ষে অসাধূভাবে অতিরিক্ত মুনাফা করা হারাম।