Monday, June 23, 2025
Homeরাজনীতিব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবদলের সভায় পুলিশের লাঠিচার্জ গুলি, আহত ২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবদলের সভায় পুলিশের লাঠিচার্জ গুলি, আহত ২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবদলের সভায় পুলিশের লাঠিচার্জ গুলি, আহত ২০ আহত হয়েছে। পুলিশের বাধায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সভা পণ্ড হয়েছে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ফাঁকা গুলি ও পুলিশের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার আলীয়াবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন– যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি সহ-সভাপতি, সাংগঠনিক টিম প্রধান জাকির হোসেন সিদ্দিকী ও জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সহ-সভাপতি রাশেদুল হক রাশেদ, তাজুল ইসলাম বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ। এদিকে পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়া ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ এনে নবীনগর থানার এসআই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে রাতে এজাহার নামীয় ২৩ ও অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। অপর দিকে পুলিশি হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি ও যুবদল। হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদল। জানা যায়, নবীনগর উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মফিজুর রহমান মুকুলের নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এবং উপজেলা যুবদলের এক নম্বর যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ হোসেন রাজুর নেতৃত্বাধীন অপর গ্রুপটি নবীনগর মহিলা কলেজে পৃথক দুটি সাংগঠনিক সভার আহ্বান করে। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে বৃহস্পতিবার রাতে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতারা স্থানীয় জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় দু-গ্রুপকে একত্র করে সভা করার বিষয়ে আলোচনা করার সময় পুলিশ তাদের ওই স্থান থেকে সরিয়ে দেয়। শুক্রবার সকালে উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সভায় যোগ দিতে বৃহস্পতিবার রাতে যুবদলের কুমিল্লা অঞ্চলের সাংগঠনিক টিমের দায়িত্বে থাকা যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ঢাকা থেকে একটি টিম নবীনগর পৌঁছায়। কিন্তু সভার অনুমতি না থাকায় নবীনগর থানা পুলিশ শুক্রবার সভা করতে বাধা দেয়। পুলিশের বাধার পর যুবদলের বিভক্ত নেতাকর্মীরা দিনভর ঘরোয়া বৈঠক শেষে বিকালে পৌর এলাকার আলীয়াবাদ গ্রামে বিএনপি নেতা মরহুম মোশারফ হোসেন মদন মেম্বারের বাড়িতে খাবার খেতে চলে আসেন। খাবার শেষে দুই গ্রুপের নেতাদের একত্রিত ডেকে আলোচনায় বসেন কেন্দ্রীয় নেতারা। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে লাঠিচার্জ শুরু করে। মুর্হূতের মধ্যে সভায় অংশ নেয়া নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় নেতাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও রক্ত দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এসময় সেখানকার সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ইটের আঘাতে রাস্তার ওপর থাকা পুলিশের পিকআপভ্যানের গ্লাস ভেঙে যায়। আতংক ছড়িয়ে পরে গোটা এলাকায়। মফিজুর রহমান মুকুল বলেন, আমরা কোনো সভা করিনি। ঢাকা থেকে আসা কেন্দ্রীয় নেতাদের আপ্যায়ন করানোর জন্য আলীয়াবাদ গিয়েছিলাম। সেখানে একটি বাসার ভেতরে পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদেরকে বেধড়ক পেটায়। এতে কেন্দ্রীয় নেতা জাকির হোসেন সিদ্দীকিসহ জেলা ও উপজেলার আমাদের কমপক্ষে ২০ জন কর্মী আহত হয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য