বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ঢাকা অফিসের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
জাহাংগীর আলম বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেছেন, ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান ই-মেইলের মাধ্যমে জানিয়েছেন, তাদের বাংলাদেশ হেড অফিস ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নির্বাচনের পর্যবেক্ষক পাঠানোর যে আর্থিক বিষয়টি ছিল; অর্থাৎ সেটিকে তারা নামঞ্জুর করেছেন। আপাতত পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এমন সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও ইইউ বর্তমানে এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে থাকার ব্যাপারে অন্যান্য বিকল্প খতিয়ে দেখছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে ইইউর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হয়, তা নিশ্চিত করতে তারা সব ধরনের প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করছে।
জাহাংগীর আলম আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান (হাই রিপ্রেজেনটেটিভ) জোসেপ বোরেলের নেওয়া এই সিদ্ধান্তের কথা বুধবার চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও সরকারকে জানিয়েছেন। ই-মেইলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরও উল্লেখ করেছেন, ইতোপূর্বে জুলাইয়ের ৬ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে ইইউর প্রতিনিধি দলের যে সাক্ষাৎ হয়েছিল সেটি ফলপ্রসূ হয়েছে। একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের সময় প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ করা হবে কি না, তা এই মুহূর্তে যথেষ্ট স্পষ্ট নয়।
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশসহ নির্বাচনপূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ইইউর প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলটি জুলাই মাসে বাংলাদেশ সফর করেছিল। বাংলাদেশ সফরকালে তারা নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করে।প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের ঢাকা সফরের সময়ই বলা হয়েছিল, তারা যে প্রতিবেদন দেবে, তার ওপর ভিত্তি করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইইউ পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর বিষয়ে সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এখন বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন।