Monday, August 11, 2025
Homeবাংলাদেশবহু মার খেয়েছি, আর নয়। যে হাত মারতে আসবে, সে হাত ভেঙে...

বহু মার খেয়েছি, আর নয়। যে হাত মারতে আসবে, সে হাত ভেঙে দিতে হবে-প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, বহু মার খেয়েছি, আর নয়। যে হাত মারতে আসবে, সে হাত ভেঙে দিতে হবে। যে হাত আগুন দিতে আসবে, সেই হাত আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে। আর সহ্য করা হবে না। আমাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির অপকর্মের জন্য ইমার্জেন্সি এলো। আর মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেল। এত সাহস থাকলে দেশে ফিরে এলো না কেন? অথচ আমাকে দেশে আসতে দেবে না। আমি যাব মামলার মুখোমুখি হব, কোর্টে দাঁড়াব। এক প্রকার যুদ্ধ করেই দেশে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর দেশে আসার প্রেক্ষাপট স্মরণ করিযে তিনি বলেন, ওর (তারেক রহমান) বাপও তো ঠেকাতে পারেনি। আমি দেশে ফিরে এসেছি। আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে নগর ও সহযোগী সংগঠনের যৌথসভায় গণভবন থেকে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের ভোট চুরি করেনি; বরং জনগণের ভোট সংরক্ষণ করেছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপি ভোট চুরি করেছিল বলে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতি করার শখ তো বাইরে পালিয়ে থাকে কেন। আওয়ামী লীগ উৎখাত করবে। আওয়ামী লীগ ভেসে আসেনি। আওয়ামী লীগ বিএনপির মতো পকেটের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া দল নয়, এটি মনে রাখতে হবে। আমরা ১৪ বছরে এত উন্নতি করতে পারলে ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা করতে পারল না কেন— এমন প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। কিন্তু ৬ বছর থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধ কেউ রক্ষা পায়নি। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর গুনে গুনে তার জবাব দিতে পরতাম। সেই ক্ষমতা আওয়ামী লীগের আছে। কিন্তু আমরা তা করিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগমসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। যৌথসভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু হানিফ মন্নাফি, মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। সভায় সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য