Monday, June 23, 2025
Homeসম্পাদকীয়পারিবারিক অসচেতনতা সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য দায়ী

পারিবারিক অসচেতনতা সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য দায়ী

আমাদের সমাজে সাম্প্রতিকসময়ে পরকীয়া, ধর্ষন, নারী নিযা©তন ব্যপকহারে বেড়ে গেছে। ফলে প্রতিনিয়ত ডিভোর্স এর পরিমানও বাড়ছে। তথ্যপ্রযুক্তির কারনে সকল নারী পুরুষের হাতে হাতে এখন দামী মোবাইল ফোন এবং এ্ই দামী মোবাইলে সহজে পয়সা দিয়ে কিনতে পারে ইন্টারনেট প্যাকেজ। এই ইন্টারন্যাটে তুরুন যুব সমাজ ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীর কাছে সহজে পৌছে দিচ্ছে অপসহস্কৃতি। মোবাইলে দেখতে পাচ্ছে নোংরা ভিডিও ব্লু-ফ্লিম। সম্প্রতি সময় করোনার কারণে অনলাইনে পড়াশুনার জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য মোবা্ইলে ইন্টারনেট সংযোগ নিতে হয়েছে। সেই সুযোগে উঠতি বয়সি তুরুন তরুনীরা ইন্টারনেটের অপব্যবহার করে বিপদগামী হচ্ছে।

বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা গ্রুপ আলোচনার মাধ্যমে পড়াশুনার নাম করে একত্রিত হয়ে, মোবাইলে নোংরা ভিডিও দেখে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে, প্রকাশ্যে হাতধরাধরি করে, কাঁধে হাত দিয়ে জরিয়ে ধরে অশ্লীলভাবে চলাচল করা, যা প্রভাব পড়ছে আমাদের সমাজে। অবাধে অশ্লীলভাবে চলাচলকারীদের দেখে অনেকে লজ্জা পাচ্ছে, কিন্তু তাদের মধ্যে কোন প্রকার সচেতনতা নেই। সমাজের এই অবক্ষয় রোধ করা জরুরী। প্রতিদিনের ধর্ষনের সংবাদ, বিয়ের প্রলোভনে অবৈধ মেলামেশা, ডাষ্টবিনে নবজাতকের বা নবজাতকের লাশ, বিভিন্ন পার্কে প্রকাশে অবৈধ মেলামেশা করা যেন একটা কালচার হয়ে দাড়িঁয়েছে। সামাজিক রীতিনীতি, মনুষত্ব বোধ, লাজ লজ্জা হারিয়ে যুবক যুবতিরা বেহায়াপনা করতে একটুও ভয় পাচ্ছে না। প্রেমের জন্য জন্মদাতা বাবা-মা ভাই-বোনদের সাথে অসভ্য আচরন করছে। প্রেমিকের সাথে গোপনে ঘর ছেড়ে গোপনে বিয়ে করছে, আবার অভাবের কারনে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বাবা-মায়ের কাছে না গিয়ে পতিতাবৃত্তি করে জীবন কাটাচ্ছে। প্রতটি অভিভাবকের উচিত তার সন্তানদের খোঁজ খবর রাখা। সন্তান কোথায় যাচ্ছে কি করছে। তা না করার কারণে অনেক অভিভাবকে এর জন্য মুল্য দিতে হচ্ছে।  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য