গত জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। আর এ বিপ্লবের সাহসী সৈনিকরাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।’‘এ বিপ্লব কোনো সহজ পথ ছিল না। হাজারো মানুষ আহত হয়েছেন। কেউ কেউ হাত-পা ও চোখ হারিয়েছেন। আবার অনেকে জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা একটি সাম্য, ইনসাফ ও বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ গড়তে চাই, যা রাসূল (সা.)-এর আদর্শে গড়ে উঠবে। যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত হবে। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে।’
তিনি গত বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর কাফরুলে কাফরুল থানা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত এক নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব ছিল ছাত্র-জনতার ইস্পাতকঠিন ঐক্যের ফসল। সেই বিপ্লবের সুফল পুরোপুরি ঘরে তুলতে সকল বিভেদ ভুলে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তিনি শহীদ পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সম্মান জানিয়ে জানান, তাদের অনেকের জন্য জামায়াত সহায়তা ও এতিমদের ভরণপোষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘মানব রচিত বিধান দিয়ে প্রকৃত কল্যাণ সম্ভব নয়। শান্তি ও মুক্তির একমাত্র পথ আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা এবং সৎ শাসনের মধ্যেই নিহিত।’
দ্বীন প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরে জামায়াত আমির বলেন, ‘এটি ঐচ্ছিক কোনো বিষয় নয়; বরং প্রতিটি মুমিনের ওপর ফরজ। কুরআন-সুন্নাহর আদর্শ অনুসরণেই আমাদের মুক্তি নিহিত।’ তিনি জনগণকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান।
নির্বাচনী পথসভায় সভাপতিত্ব করেন কাফরুল থানা আমির অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য শাহ আলম তুহিন, মো. শহীদুল্লাহ, আলাউদ্দিন, তুহিন রেজা তুহিনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।