শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা, টাঙ্গাইলঃ
টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক জেলা কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামের নৃশংস হতাকান্ডের একমাত্র আসামী স্বামী মিজানুর রহমানের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা সাংস্কৃতিক কর্মী কল্যাণ সংস্থা।
সোমবার (২৮ মার্চ) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে জেলা সাংস্কৃতিক কর্মী কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা সাংস্কৃতিক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি জাকির হোসেন, প্রধান পরামর্শক এলেন মল্লিক, কার্যকরি সভাপতি বিপ্লব দত্ত পল্টন, পরামর্শক ফিরোজ আহমেদ বাচ্চু, সদস্য জহুরুল ইসলাম, মনোয়ারা বেগম, শাহনাজ সিদ্দিকী মুন্নী, ঝান্ডা চাকলাদার, কবি ডলি সিদ্দিকী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা সম্প্রতি সিআইডি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ঘাতক স্বামী দেলোয়ার হোসেন মিজানের দ্রæত ফাঁসির দাবি করেন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা।
টাঙ্গাইলের আদালত তানবীর আহমেদ জানান, গত ১৩ মার্চ মির্জাপুর বঙ্গবন্ধু আমলী আদালতে আত্মসমর্পন করেন। আদালতের বিচারক বাদল কুমার চন্দ্র আসামীর জামিন নামঞ্জুর করে সিআইডি পুলিশের করা আবেদনে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দুইদিন শেষে পুনরায় রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। এ আবেদনে আবার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সিআইডি’র পুলিশ পরিদর্শক মো. বাবর আলী জানান, গত ১৬ ফেব্রæয়ারি উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পন করেন টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক জেলা কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম হতাকান্ডের একমাত্র আসামী স্বামী দেলোয়ার হোসেন মিজান। এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১৩ মার্চ মির্জাপুর বঙ্গবন্ধু আমলী আদালতে আত্মসমর্পন করেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করে সিআইডি। আবেদনে আসামীর দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। দুইদিনের রিমান্ড শেষে ২৪ মার্চ তাকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ মার্চ মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে কন্যাসন্তান জন্ম দেন রেদওয়ানা ইসলাম। ২৭ মার্চ বিকেলে হাসপাতালের দোতলার ১১ নম্বর কেবিন থেকে মুখে বালিশচাপা ও গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রেদওয়ানা ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে মির্জাপুর থানা পুলিশ। দাম্পত্য কলহের জেরে সন্তান প্রসবের ৫ দিন পর ২৭ মার্চ মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের কেবিনে স্বামী মিজান রেদওয়ানাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে পরিবারের দাবি। ঘাতক স্বামী দেলোয়ার হোসেন মিজান পাবনা সদর থানার হেমায়েতপুর চরভাঙ্গারিয়া গ্রামের মো. এলাহী মোল্লার ছেলে। তিনি স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক ভোলা সদরের মহাজনপট্টি শাখায় কর্মরত ছিলেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমি টাঙ্গাইলের সাবেক জেলা কালচারাল অফিসার নিহত খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম রংপুর সদর থানার ইসলামপুর হনুমানতলার মৃত খন্দকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
এরপর ২৮ মার্চ নিহতের ছোট ভাই খন্দকার আরশাদুল আবিদ বাদি হয়ে রেদওয়ানার স্বামী মিজানকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান গা ঢাকা দেয়।