Monday, June 23, 2025
Homeঅপরাধকলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন

কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন

বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর আ.লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হয়েছে।

২০১৩ সালে যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কী ও ২০১৬ সালের রিজভি হাসান ওরফে বোচা বাবু – এ দুই আলোচিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে টিপু হত্যার ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে।  টিপুর অন্যতম সহযোগী ছিলেন রিজভী হাসান বাবু। টিপু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ডসহ গ্রেফতার ৪জনের কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। 

শনিবার দুপুরে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যা ব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যা ব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া ৪জন জানিয়েছে, মিল্কী হত্যা মামলায় রেহাই পায় টিপু। এরপর বোচা বাবু হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্যে টিপুর প্রভাব বিস্তার করলে তাকে হত্যা করেন তারা।

উল্লেখ্য, মতিঝিল এলাকার চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, স্কুল-কলেজের ভর্তি বাণিজ্য, বাজার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই গুলশান শপার্স ওয়ার্ল্ড এর সামনে মিল্কী হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়। এর ৩ বছরের ভেতর একই এলাকার বাসিন্দা বোচা বাবু হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।  

গ্রেফতার ফারুক ও পলাশ প্রায় একই রকম তথ্য দিয়ে জানায়, মিল্কী হত্যাকাণ্ডে টিপুর সম্পৃক্ততা রয়েছে মর্মে তারা মানববন্ধন, আলোচনা সভা, পোস্টার লাগানো ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করেও লাভ হয়নি।  জাহিদুল ইসলাম টিপু মামলা হতে অব্যাহতি পায়। 

পরবর্তীতে স্বার্থগত দ্বন্দ্বের কারণে টিপুর অন্যতম সহযোগী রিজভী হাসানকে ২০১৬ সালে হত্যা করে গ্রেফতার ওমর ফারুক ও অন্যান্য সহযোগীরা। 

বর্তমানে রিজভী হাসান হত্যাকাণ্ডটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের মাধ্যমে বিচার চলছে। প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ রাত সাড়ে দশটায় রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন জাহিদুল ইসলাম টিপু। ঘটনাস্থলে একজন নিরীহ কলেজ ছাত্রী নিহত হয়। নিহত টিপুর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা রুজু করেন। 

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা এবং বিশেষ করে একজন কলেজ ছাত্রীর নিহত হওয়ায় দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। র‌্যা‌বের ব্যাপক তদন্ত এবং গোয়েন্দাদের নজরদারিতে গ্রেফতার হন এ হত্যাকাণ্ডের শুটার মাসুম। 

এরপর গ্রেফতার হন হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী ওমর ফারুক (৫২) এবং আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মো. নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির (৩৮), মো. মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য