Tuesday, June 24, 2025
Homeঅপরাধএডিসি লাবণীর দেহরক্ষী ছিলেন কনস্টেবল মাহমুদ

এডিসি লাবণীর দেহরক্ষী ছিলেন কনস্টেবল মাহমুদ

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ‘আত্মহত্যা করা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) খন্দকার লাবণী ও মাগুরা জেলা পুলিশের কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান একসঙ্গে কাজ করতেন। মাহমুদ বদলি হয়ে যাওয়ার আগে লাবণীর দেহরক্ষী ছিলেন। তাদের কাছাকাছি সময়ে আত্মহত্যার ঘটনায় কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটি নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানাবাড়ি থেকে সিলিংফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লাবণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

খন্দকার লাবণী খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুদিন আগে ছুটিতে মাগুরায় আসেন তিনি। তিনি বিসিএস ৩০তম ব্যাচের ছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা পুলিশলাইনস থেকে কনস্টেবল মাহমুদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশলাইনসের ব্যারাকের ছাদ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মাহমুদুল হাসান (২৩) নামে ওই কনস্টেবলের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিপলুবাড়িয়া গ্রামে। দেড় মাস আগে তিনি মাগুরায় বদলি হয়ে আসেন। পুলিশের ধারণা, নিজ নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

মাগুরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান দেড় মাস আগে মাগুরায় বদলি হন। এর আগে তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি খন্দকার লাবণীর দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুটি ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এটুকু নিশ্চিত, দুজনেই আত্মহত্যা করেছেন। দুজনের আত্মহত্যার কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত করছে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য