আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ হবিগঞ্জের এসিডদগ্ধ অসহায় সীমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। ইতোমধ্যে তার হাতে এক লাখ টাকা তুলে দিয়েছেন তিনি। জানা যায়, খুব অল্প বয়সে বাবার ছোড়া এসিডে দগ্ধ হন সীমা। এতে তার মুখমন্ডল বিকৃত হয়ে যায়।
২০১০ সালে সীমার যখন স্কুলে ভর্তি হওয়ার বয়স হয়, তখন কোনো প্রতিষ্ঠান প্রথমে তাকে ভর্তি নিতে রাজি হয়নি। এ বিষয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে তাকে নিয়ে প্রতিবেদন সম্প্রচার করে। এরপর অনেকের আর্থিক সহায়তায় সীমার পড়াশোনা শুরু হয়। তবে মহামারি করোনার প্রকোপে তার পড়াশোনা আবারও হুমকির মুখে পড়ে। সীমার বিষয়টি নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হয়। সীমার আর্থিক অসঙ্গতি ও অসহায়ত্বের বিষয়টি নজরে আসে বরেণ্য রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের। এরপর তিনি তার প্রতিষ্ঠিত তোফায়েল আহমেদ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সীমাকে সহায়তা করার মনস্থির করেন।
সেই মোতাবেক সীমাসহ তার পরিবারকে রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত নিজ বাসভবনে ডেকে পাঠান তোফায়েল আহমেদ।তারপর সীমার হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেন। পাশাপাশি তোফায়েল আহমেদ জানান, প্রতিমাসে তার প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশন থেকে সীমাকে পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। যাতে সীমার পড়ালেখার খরচ চালিয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও জানান, উচ্চ শিক্ষা বা সীমা যে পর্যন্ত লেখাপড়া করতে চান সেই পর্যন্ত সীমাকে আর্থিক সহায়তা করা হবে। এদিকে, আর্থিক সহায়তা পাওয়ার পরে সীমা বলেন, তিনি ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চান।যাতে সহজেই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন