ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর মো. মিছবাহুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব কে পালন করবেন এ বিষয়ে আজকালের মধ্যেই চিঠি আসবে মন্ত্রণালয় থেকে। চিঠি পেলে সেভাবে ব্যবস্থা নিয়ে জানানো হবে।
তবে ছয়সূতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর মো. মিছবাহুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ভিজিডির চাল আত্মসাৎ করিনি। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এছাড়া এখনও আমি বরখাস্ত হওয়ার আদেশের চিঠি পাইনি।
সূত্রমতে, গত ১৫ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয় তার এ আদেশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে জারি করা হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
জানা গেছে, ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভিজিডি কর্মসূচির চাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন জিল্লুর রহমান স্মৃতি সংসদে সংরক্ষণ করে রেখেছেন – এমন খবরে উপজেলা প্রশাসন ২০১৯ সালের ২৭ মে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এক অভিযান চালায়। এ সময় জিল্লুর রহমান স্মৃতি সংসদ থেকে ২১ বস্তা চাল জব্দ করে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়া হয়।
পরবর্তীতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউসার আজিজ উপজেলা কৃষি অফিসারকে আহ্বায়ক করে উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এবং যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে সদস্য করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত প্রতিবেদনটি কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মীর মো. মিছবাহুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।