লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনউপলক্ষে শুভেচ্ছা মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের দেবিরচর বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় এক পক্ষের মিছিলের নেতৃত্ব দেন সাবেক ছাত্রলীগনেতা মতিন সিকদার। তার মিছিলটি আওয়ামী লীগের মননোয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারেরপক্ষ থেকে বের করা হয়। এর আগ থেকে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা মিছিল করতে থাকে বদরপুর ইউনিয়ন উত্তর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ওই মিছিলে হামলা চালায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মতিন সিকদারের নেতৃত্বাধীন মিছিলের লোকজন।
এ হামলার ঘটনায় আহত হন যুবলীগের নোমানসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর দিন হামলার শিকার হন সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাবিল। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
তবে এ ঘটনাকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টাকরা হয়। এ নিয়ে কয়েকটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মননোয়ন প্রত্যাশী নোমানের পোস্টার লাগানোর কারণে হামলার দাবি করা হয়। ওইসব সংবাদে বদরপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মফিজল মেলকার ও ইউপি চেয়ারম্যান আসাদউল্যাহ মেলকারের আত্মীয়-স্বজনদের দায়ি করা হয়।
মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করায় বদরপুর ইউনিয়ন উত্তর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। শুক্রবার সকালে বদরপুর ইউনিয়ন উত্তর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে এ হামলার ঘটনার জন্য ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের সমর্থক মতিন সিকদারকে দায়ি করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এ সময় বদরপুর ইউনিয়ন উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি সানাউল্লাহ মাস্টার, ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মফিজল মেলকার, ২ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ মেলকারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তারা বলেন, বদরপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। তবে ইউনিয়নের কতিপয় সুবিধা বাদীরা নিজেদের স্বার্থের জন্য বিবাদ সৃষ্টি করছে। যেই নোমান ও কাবিলকে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে বলে সংবাদ বেরিয়েছে তারা এমপি শাওনের কর্মী।
এ অভিযোগের ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের সমর্থক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মতিন সিকদার জানান, যে কেউ প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা রাখে। আমরা আবু নোমান হাওলাদারের সমর্থক হওয়ায় আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।