বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আবেদনের মতামত বিষয়ে ‘না’ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। বিদেশ যেতে হলে তাকে (খালেদা জিয়া) জেলে গিয়ে পরে আবেদন করতে হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। রোববার (১ অক্টোবর) দুপুরে এই মতামত জানায় মন্ত্রণালয়।
এর আগে রোববার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন, সেটা হলো আইনের অবস্থান। আমি মনে করি সেটা সঠিক। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন যে খালেদা জিয়ার আগে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে সাজা স্থগিত করেছেন এবং শর্তযুক্তভাবে প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতার কারণে তাকে মুক্তি দিয়েছেন। এটা এখন পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজ ট্রানজেকশন। এখন এটা ওপেন করার কোনো উপায় নাই আইনগতভাবে। এটা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন। আইনের অবস্থানই সেটা।
উল্লেখ্য, ভয়েস অব আমেরিকার শতরূপা বড়ুয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হলে তাকে আদালতে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আদালত যদি অনুমতি দেন তাহলে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে চিঠি দেন। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ আবেদন মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাম্প্রতিক আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতেই বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।