সোনালী ব্যাংকের এমডি হুমায়ুন কবিরসহ ৯ জনকে পাঁচ কোটি ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় পৃথক দুই ধারায় ১৭ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন এই আদেশ দেন।
তাদের দণ্ডবিধি ৪০৯ ও ৪০৯ ধারায় ১০ বছর এবং ৪২০ ও ১০৯ ধারায় সাত বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে আদালত রায়ের আদেশে উল্লেখ করেন। অর্থাৎ আসামিদের ১০ বছর কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া, আত্মসাৎ করা পাঁচ কোটি ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা ১০ আসামির কাছ থেকে সমান হারে নিয়ে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন, সোনালী ব্যাংকের জিএম ননী গোপাল নাথ, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, এজিএম কামরুল হোসেন খান, ডিএমডি মাইনুল হক, এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, প্যারাগন প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মণ্ডল ট্রেডার্সের মালিক মকুল হোসেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কারাগারে আটক থাকা ডিএমডি মাইনুল হক, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ ও এজিএম কামরুল হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। বাকি ছয় আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন।
২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে রমনা থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্যারাগন প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড বরাবর মিথ্যা ও ভুয়া আমদানি-রপ্তানী দেখান। আইবিপি বাবদ পাঁচ কোটি ২০ লাখ টাকা পরিশোধ না করে পরবর্তীতে সমন্বয় করে আইবিপি ঋণ সৃষ্টি করে পাঁচ কোটি ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা আত্মসাৎ করেন তারা। আসামিদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪০৬/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ ধারায় রমনা মডেল থানার মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে সেলিনা আখতার মনি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।