Thursday, June 26, 2025
Homeদূর্ঘটনাকমেডিশো মিরাক্কেলখ্যাত কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ

কমেডিশো মিরাক্কেলখ্যাত কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ

ভারতের জি বাংলার কমেডিশো মিরাক্কেলখ্যাত জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইন্সে শুক্রবার বিকালে অংশ নিয়ে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছেন।  ওই ঘটনায় রনি ছাড়াও দগ্ধ ও আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল সাড়ে ৫টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল উদ্বোধনী মঞ্চে বেলুনগুচ্ছ উড়িয়ে জিএমপি পুলিশের চার বছর পূর্তি অনুষ্ঠান উদ্বোধন করছিলেন। অতিরিক্ত ভারে বেলুনগুচ্ছ আকাশে উড়াতে না পেরে অবশেষে সাদা পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে উদ্বোধনমঞ্চে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ অতিথিরা অনুষ্ঠানমঞ্চে গেলে একজন পুলিশ সদস্য বেলুনগুচ্ছ এক পাশে নিয়ে যান। বেলুন বিক্রেতা বেলুনগুলো ওড়ানোর চেষ্টা করলে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় পাশে বসে থাকা কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ ৫ জন দগ্ধ হন। পুলিশ সদস্যরা পানি ঢেলে আগুন নেভান।

আহতদের প্রথমে দ্রুত শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি ও মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন।আহতরা হলেন— নাটোরের সিংড়া থানার বিলদহর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ খানের ছেলে অভিনেতা আবু হেনা রনি, গাজীপুর জেলা পুলিশের কনস্টেবল মোশারফ হোসেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল রুবেল মিয়া, কনস্টেবল জিল্লুর রহমান ও কনস্টেবল ইমরান হোসেন। পরে তাদের মধ্যে আবু হেনা রনি, জিল্লুর রহমান ও মোশারফ হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রফিকুল ইসলাম জানান, পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আবু হেনা রনির অবস্থা আশঙ্কাজনক। সবচেয়ে বেশি দগ্ধ হয়েছেন তিনি। তার শরীরের ২৫-৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। রনিসহ দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কীভাবে বেলুনগুলো বিস্ফোরিত হলো, সেই প্রশ্নে মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বেলুন নিয়ে মঞ্চের পেছনে যাওয়ার পর কয়েকজন বেলুনে লাগানো গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ লেখা ফেস্টুন বেলুন থেকে খুলতে চেষ্টা করতে থাকে। তখন কেউ একজন ফেস্টুনের সুতা লাইটার জ্বালিয়ে বিচ্ছিন্ন করতে চেষ্টা করে। তখনই আগুন লেগে বেলুনগুলো ব্লাস্ট হয়ে যায়।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য