Sunday, August 10, 2025
Homeআইন-আদালতইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির করা হয়নি

ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির করা হয়নি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে অসুস্থ থাকায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় আদালতে হাজির করা হয়নি। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে সম্রাটের উপস্থিতিতে মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। সম্রাট অসুস্থ থাকায় এদিন তাকে আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। রিমান্ড শেষে বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

আগামী ১০ জানুয়ারি অভিযোগপত্র গ্রহণের নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম মিডিয়াকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল ও ফকিরেরপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন। সেগুলোতে নিজের লোক বসিয়ে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় নিজের লোক দিয়ে ক্লাবগুলোতে ব্যবসা পরিচালনা করতেন।

এ ছাড়া চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অবৈধ মাদক ব্যবসা পরিচালনারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে তিনি দেশের বাইরে সম্পদ গড়েছেন। দেশেও উত্তরা, ধানমণ্ডি, গুলশানসহ বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে সম্পদ গড়েছেন।

অনুসন্ধানকালে গোয়েন্দা সূত্র, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সম্রাট ক্যাসিনোসহ অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দেশের বাইরে পাচার করে নামে-বেনামে সম্পদ গড়েছেন। দেশেও তিনি ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি করেছেন, সিনেমায় বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। মামলার তদন্তকালে আইনানুগ পদ্ধতিতে আসামি সম্রাটের অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদের আরও প্রমাণাদি পাওয়া গেলে তা আমলে নেওয়া হবে।

দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে করা মামলায় আরও বলা হয়, তিনি ২০১৮-১৯ করবর্ষে নিজ নামে ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য দিয়েছেন। তবে অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, সম্রাট তার মালিকানাধীন ‘হিজ মুভিজ’-এর নামে সোনালী ব্যাংক, কাকরাইল শাখায় চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ কোটি ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। ওই হিসাবে বর্তমান স্থিতি ১৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। বিভিন্ন ব্যাংকে তার এফডিআর আছে ১ কোটি ১০ লাখ ৭৬ হাজার টাকার। সব মিলিয়ে দেশে তার অবৈধ সম্পদের সন্ধান মেলে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য