Wednesday, June 25, 2025
Homeদেশগ্রামলালমোহনে জরাজীর্ণ ব্রিজ, ঝুঁকি নিয়ে চলছে পথচারী-যানবাহন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

লালমোহনে জরাজীর্ণ ব্রিজ, ঝুঁকি নিয়ে চলছে পথচারী-যানবাহন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা


জাহিদ দুলাল, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি :


ভোলার লালমোহনে একটি ব্রিজ, এযেন এক মরণ ফাঁদ। ব্রিজটির কোন প্রান্তেই ঝুঁকিপূর্ণ কিংবা ‘সাবধান’! টাঙানো নেই। ফলে প্রতিনিয়ত হচ্ছে দূর্ঘটনা। ব্রিজের নিচের লোহার এঙ্গেল ভেঙ্গে পড়েছে আর উপরের অংশের ইট বালি সিমেন্টের ঢালাই নাজুঁক ও পরিত্যক্ত বললেই চলে। বিভিন্ন অংশ ক্ষয় হয়ে ভেতরের রড বেরিয়ে গেছে। এরপরও ব্রিজটির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ছোট যানবাহন ও এলাকাবাসী চলাচল করছে। যানবাহন উঠলেই কেঁপে ওঠে ব্রিজটি। যে কোনা সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

লালমোহন উপজেলা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে পৌরসভার  ৮নং ওয়ার্ড ও কালমা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড রিপুজি পাড়া খালের ওপর নির্মিত এই ব্রিজটি গত ৫ বছর ধরে বেহাল দশা। জানা যায়, প্রায় ৩৫ বছর আগে এ ব্রিজটি নির্মাণ করা হলে ও যথাযথ রক্ষনাবেক্ষন ও মেরামতের অভাবে ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ওই এলাকার কবির জানান, গত প্রায় ১৫ দিন আগে রাতের বেলায় একটি রিক্সা উল্টে একজন পথচারী ব্রিজ থেকে খালে পড়ে যায়। তাকে উঠাতে গিয়ে আরো দুজন খালের পানিতে পড়েছে।

ওই এলাকার মুশফিক, আনোয়ার, রহিম জানান, ব্রিজ ভেঙে থাকায় স্থানীয়রা বাশঁ, গাছ ও মাটি ভর্তি বস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন ব্রিজ দিয়ে চলাচলকারীরা। ব্রিজটির মাঝখানে ভেঙে পড়ায় এখান দিয়ে বড় কোনো ধরনের যানবাহন চলছে না। যার জন্য কৃষি পন্য নিয়ে আমাদের বহু পথ ঘুরে বাজারে পৌঁছাতে হয়। তাই আমাদের দুই এলাকার বাসিন্দাদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়।

কালমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন হাওলাদার জানান, প্রায় ৫ বছর ধরে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে আছে। সরকারি ভাবে কেনো বরাদ্দ না থাকায় মেরামত কিংবা নুতন ব্রীজ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে এলজিইডির লালমোহন উপজেলা প্রকৌশলী রাজীব শাহ বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর ব্রিজটির জন্য বরাদ্দের আবেদন করেছি। বরাদ্দ পেলে ব্রিজটি নির্মাণের ব্যাবস্থা করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য