Monday, June 23, 2025
Homeঅপরাধলালমোহনে ক্রয়কৃত জমির মালিকানা দাবি করায় হয়রানির শিকার

লালমোহনে ক্রয়কৃত জমির মালিকানা দাবি করায় হয়রানির শিকার

লালমোহন ভোলা প্রতিনিধি :

ভোলার লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জে ক্রয়কৃত জমি বুঝ চাইতে গিয়ে দাতার পরিবার কর্তৃক গ্রহিতার পরিবারকে হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।

দাতার পরিবারের এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার অভিযোগ তুলে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড লর্ডহার্ডিঞ্জ গ্রামের রাঢ়ী বাড়ির বাসিন্দা হাজী মোঃ ছালাউদ্দিন বলেন, ২০১০ সালে একই বাড়ির বাসিন্দা জয়নালের কাছ থেকে আমার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছার নামে লর্ডহার্ডিঞ্জ মৌজার এসএ ১১৩, ১১৪ ও ১১২ নং খতিয়ানে ৪৮ শতাংশ জমি ক্রয় করি। জয়নালের জীবদ্দশায় বাড়ি থেকে কিছু জমি বুঝ দিলেও অবশিষ্ট জমি বুঝিয়ে দেয়ার আগেই মৃত্যুবরণ করে সে। তার মৃত্যুর পর বাড়ির জমিটুকুও জবরদখলে মেতে উঠে জয়নালের স্ত্রী শুকরেনেছা, ছেলে রফিক ও আকতার। তিনি আরও বলেন, তারই জের ধরে গত ৩০ নভেম্বর (বুধবার) আমার ভোগদখলীয় বাগান থেকে সুপারি পাড়া ও গাছ কাটতে যায় আকতার। এসময় তাকে বারণ করলে আমার বিরুদ্ধে আকতারের গর্ভবতী স্ত্রীসহ তাদের উপরে হামলা করার মিথ্যা অভিযোগ এনে লালমোহন থানায় লিখিত অভিযোগ করে। এর আগে জয়নাল তার সকল জমি স্ত্রীর নামে দিয়ে গেছে মর্মে একটি দানপত্র দলিল বের করে, যেটা ১৯৮০ সালের ৫ জানুয়ারি পার্শ্ববর্তী উপজেলা তজুমদ্দিন সাব রেজিস্ট্রার অফিসে সম্পন্ন করা হয়। পরে গত ২১ নভেম্বর ওই দলিলের যথার্থতা যাচাইয়ে এডভোকেটের মতামত চাইলে ১৯০৮ সালের ভূমি রেজিষ্ট্রেশন একট্’র ২৮(১) ধারা মতে দানপত্র দলিলে তজুমদ্দিন সাবরেজিস্ট্রি অফিসের অধিক্ষেত্রের কোনও ভূমি না থাকায় উক্ত দানপত্র দলিলখানা সম্পূর্ণ বাতিল দলিল হিসেবে পরিগনিত হয় বলে মতামত পেশ করেন ভোলা জজ কোর্টের এডভোকেট শামীম আহমেদ। হাজী মোঃ ছালাউদ্দিন বলেন, এরপরও আকতার গংরা এডভোকেটের মতামত উপেক্ষা করে আমার ভোগদখলীয় জমি থেকে মাটি কাটা, ভিটি তৈরি, বাগানের সুপারি পাড়া ও গাছকাটা শুরু করে। নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে সংবাদ প্রকাশ করায়। তিনি বলেন, আকতার গংরা থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও থানা থেকে পুনরায় এডভোকেট মতামত আনতে বললে গত ৬ ডিসেম্বর ভোলা জজ কোর্টের এডভোকেট আলহাজ্ব মোঃ মহিবউল্যা মিঞার কাছ থেকে আইনি মতামত আনা হয়। তিনিও একই মতামত প্রকাশ করেন। এরপরও আকতার গংরা আমাকে ফাঁসাতে বিভিন্ন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করে আসছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আকতার বলেন, আমাদের বাগান থেকে সুপারি পাড়তে ও গাছ কাটতে গেলে আমাদেরকে বাঁধা ও মারধর করা হয়। এনিয়ে থানায় অভিযোগের পর ফয়সালার তারিখ হয় এবং এডভোকেট মতামত আনতে বলা হয়। বর্তমানে আমরা সে মতামতের অপেক্ষায় রয়েছি। লালমোহন থানার এএসআই তাপস বলেন, আকতার ও হাজী মোঃ ছালাউদ্দিনের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে এডভোকেট মতামত চাওয়া হয়েছে। মতামত পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য