জাহিদ দুলাল, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রতিকূলতা কাটিয়ে ভোলার লালমোহনের কৃষকরা আমন ধানের আশানুরূপ বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এতে করে কৃষকদের মাঝে তৃপ্তির হাসি ফোঁটেছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কৃষি পরিবারগুলো। কেউ ব্যস্ত ধান কাটায়, কেউ ধান মাড়াইয়ে, আবার কেউ ব্যস্ত ধান শুকাতে। এবছর লালমোহনে আমন ধান উৎপাদন হয়েছে ৯৮ হাজার মেট্রিকটন। উপজেলার অন্তত ৩৫ হাজার কৃষক এ ধান চাষ করেছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, লালমোহনে এবছর আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২ হাজার ৪২ হেক্টর জমি। তবে সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবছর লালমোহনে আমন ধান চাষ হয়েছে ২২ হাজার পাঁচশত ৪২ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ধান চাষ হয়েছে উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ও বদরপুর ইউনিয়নে। উপজেলায় এ বছর আধুনিক জাতের ব্রি ধান-৫২, ৭৬, ৮৭, ৯৩, ৯৫ ও ব্রি হাইব্রিড ধান-৪ সহ স্থানীয় জাতের কুটি সাইল, কাজল সাইল ও রাজা সাইল জাতের ধান চাষ করা হয়।
লালমোহনের দক্ষিণ ফুলবাগিচা গ্রামের কৃষক মো. হাদিস জানান, এবছর ১৬০ শতাংশ জমিতে স্থানীয় জাতের আমন ধান চাষ করেছি। এতে করে ব্যয় হয়েছে বিশ হাজার টাকা। আর লাভের পরিমাণ দ্বিগুণ। একই গ্রামের কৃষক নাগর মিয়া বলেন, ৩২ শতাংশ জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। যেখানে ব্যয় বাদে প্রায় দ্বিগুন লাভ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি। এতে করে খুশি ধান চাষীরা।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএফএম শাহাবুদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলার প্রায় ৫৫ ভাগ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ধান নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় থাকলেও খুব দ্রুত সময়ে আবহাওয়া ঠিক হয়ে যাওয়ায় এবছর লালমোহনের কৃষকরা আমন ধানের আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন। অন্যদিকে, কৃষকরা বাজারে ধানের দামও বেশি পাচ্ছেন। এতে করে কৃষকরা অধিক লাভবান হয়েছেন। এতে করে আগামী বছরও ধান চাষে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করছি।