ভোলার সদর উপজেলার চর হোসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব এহতেশামুর রহমানের বিরুদ্ধে ভোলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়ালীউল ইসলাম ভোলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট কয়েকটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগে বলা হয় প্রধান শিক্ষক তার স্কুলের পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের সমাপনি পরীক্ষার সদন বিতরনের সময় ১০০/- টাকা করে জনপ্রতি নিয়েছে এবং পরীক্ষার সময় অতিরিক্তি ফি নিয়েছে।
এ অভিযোগ দায়ের করার পর তা তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় সহকারী শিক্ষা অফিসার শিরিন সুলতানার উপর। কিন্তু তদন্তকারী অফিসার শিরিন সুলতানা স্বরজমিনে তদন্তে না গিয়ে অফিসে বসে অভিযোগকারী শিক্ষা অফিসার ওয়ালীউল ইসলাম এর সাথে যোগসাজেসে ভোলার সদর উপজেলার চর হোসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব এহতেশামুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ সত্য ও প্রমানিত বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে ভোলার সদর উপজেলার চর হোসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব এহতেশামুর রহমান জানান। তার বিরুদ্ধে যে ক‘জন শিক্ষার্থীদের সদন ১০০/-টাকার বিনিময়ে প্রদান করার কথা বলা হয়েছে, সেই সকল শিক্ষার্থীর সনদ এখনও স্কুলে সংরক্ষিত আছে।তাছাড়া স্কুলের সহকারী শিক্ষকের জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা। কারন এখনও কোন শিক্ষার্থীর সদন বিতরন করা হয়নি। এবং যে সকল শিক্ষার্থীরা টাকা দিয়ে সদন নেয়ার কথা বলা হয়েছে। তাদের অভিভাবকরা জানান, আমরা কোন সনদ নেইনি, সেখানে টাকা দেয়ার প্রশ্নই আসেনা এবং পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত ফি নেয়ার কথা ও মিথা বলে অভিভাবকরা জানান।
চর হোসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব এহতেশামুর রহমান বলেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়ালীউল ইসলাম কয়েক মাস যাবৎ আমার সাথে অসৎ আচরন করে আসছেন। কেন তিনি আমার সাথে এই রকম আচরন করছেন আমি জানি না। তিনি ব্যক্তিগত আক্রোস থেকে আমার বিরূদ্ধে এই রকম একটা মিথ্যা অভিযোগ করলেন। এবং সহযোগী সহকারী শিক্ষা অফিসার শিরিন সুলতানা ও কোন প্রকার তদন্ত না করে অভিযোগ সত্য ও প্রমানিত বলে প্রতিবেদন দেন যা সত্যি দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষা অফিসার শিরিন সুলতানা সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, আমি অভিযোগ পাওয়ার পর করোনা কালীন সময় বিধায় অভিযোগকারীদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে রিপোর্ট জমা দিয়েছি।তিনি আরও জানান, অভিযোগকারী শিক্ষা অফিসার ওয়ালীউল ইসলাম ভোলার সদর উপজেলার চর হোসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিজিটে যাওয়ার পর স্কুলে প্রধান শিক্ষককে বিনা নোটিশে অনুপস্থিত দেখতে পান এবং উপস্থিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে আলাপ করে চর হোসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এহতেশামুর রহমান এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। কোন প্রকার ব্যক্তিগত আক্রোশ বসে নয়। অভিযোগ কারী সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়ালীউল ইসলাম বদলি হয়ে চলে গেছেন। এবং তিনি বলেল আমি আমার তদন্তে যা পেয়েছি তার প্রতিবেদন দিয়েছি।