Wednesday, June 25, 2025
Homeআন্তর্জাতিকব্রেন্ডন টেইলরকেও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ায় পড়তে হবে বড় শাস্তির মুখে

ব্রেন্ডন টেইলরকেও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ায় পড়তে হবে বড় শাস্তির মুখে

জিম্বাবুয়ের জাতীয় দলের ক্রিকেটার ব্রেন্ডন টেইলর সোমবার টুইটারে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে ভারতে গিয়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন তিনি। তবে টেইলর দাবি করেছেন, তিনি ফিক্সিংয়ে জড়াননি। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির কাছ থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা আছে, যদি কোনো ক্রিকেটার ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গে আইসিসির এন্টি করাপশন ইউনিটকে জানাতে হবে। যদি কেউ না জানান তাহলে তাকে বড় রকমের শাস্তির মুখে পড়তে হবে। 

ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও সেটি আইসিসিকে সময়মতো জানানটি টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এই কারণে ২০১৯ সালে সাকিবকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। পরবর্তীতে যা এক বছরে কমিয়ে আনা হয়। সাকিবের মতো ব্রেন্ডন টেইলর আইসিসিকে সময়মতো ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি জানাননি। তিনি টুইটের মাধ্যমে আজই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন। আর সাকিবের মতো একই ভুল করে এখন ৩৫ বছর বয়সী টেইলরকেও পড়তে হবে বড় শাস্তির মুখে। 

ঘটনাটির বিস্তারিত জানিয়ে টুইটারে টেইলর লিখেছেন, ২০১৯ সালের অক্টোবরের শেষদিকে, আমাকে ভারতের এক ব্যবসায়ী অনুরোধ করে জিম্বাবুয়েতে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের স্পন্সরশিপের বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে। আমাকে বলা হয়েছিল ১৫ হাজার ডলার পাবো।’

‘আমি সেটাকে প্রত্যাখান করতে পারিনি কারণ ভীত ছিলাম। কিন্তু সময়টাও এমন ছিল যখন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড ছয় মাস আমাদের বেতন দিতে পারছিল না। এটাও নিশ্চিত ছিলাম না জিম্বাবুয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যেতে পারবে নাকি। তাই আমি ভারতে যাই। আলোচনাও হয়, আমরা একটা ডিনারে বসি।’

‘সেখানে সে ড্রিংকস নিয়ে হাজির হয়। একই সঙ্গে আমাকে কোকেইন খাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, আমি সেটা কিছুটা গ্রহণও করে ফেলি বোকার মতো। আমি এরপর অনেকবার সেটাতে ফিরে গেছি। আমার পেটে এখনও অসুস্থতা বোধ করি। তারা কীভাবে আমার সঙ্গে ওই রাতে খেলল, সেটা নিয়ে ভাবি। পরের দিন সকালে ওই একই লোক আমার হোটেলের রুমে আসে আর একটা ভিডিও দেখায় কোকেইন খাওয়ার। সে আমাকে বলে, যদি আমি আন্তর্জাতিক ম্যাচে তাদের জন্য স্পট ফিক্সিং না করি। তাহলে তারা ভিডিওটি ছড়িয়ে দেবে।’‘আমি চিন্তিত হয়ে পড়লাম। আমার হোটেল রুমে ছয় জন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিল, নিজেকে নিয়েই ভয়ে ছিলাম। আমি তাদের ফাঁদে পা দিলাম। আর ধীরে ধীরে এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গেলাম যেটা ক্যারিয়ারটাকে শেষ করে দিল।’

‘আমাকে ১৫ হাজার ডলার ঠিকই দেওয়া হলো কিন্তু সঙ্গে এটাও বলা হলো যে এটা একটা ডিপোজিট ফিক্সিংয়ের জন্য। যদি কাজটা হয়ে যায়, তাহলে আরও ২০ হাজার ডলার পাবো। আমি টাকাটা নেই, যেন প্ল্যানে উঠে ভারত ছাড়তে পারি। আমার মনে হয়েছিল আর কোনো বিকল্প নেই। কারণ সেখানে না বলার মতো অবস্থা ছিল না। আমি তখন কেবল সেখান থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার কথাই ভেবেছি।  
দীর্ঘ এক টুইটারে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর জানিয়েছেন, তাকে জিম্বাবুয়েতে একটি টি-টোয়েন্টি লিগ ও স্পন্সরশিপের জন্য দেখা করার জন্য অনুরোধ করেন এক ভারতীয় ব্যবসায়ী। কিন্তু সেখানে গিয়ে ফেঁসে যান তিনি। তাকে কোকেইন সেবন করিয়ে সেটির ভিডিও করে বলা হয়, ম্যাচ ফিক্সিং করতে। নয়ত কোকেইন সেবনের ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়া হুমকি দেয়া হয়।  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য