বিয়ে নিবন্ধনের সময় বর-কনের বয়স যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্টদের জন্মসনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সনদ যাচাই-বাছাই করতে দেশের সব নিকাহ রেজিস্ট্রারের (কাজি) প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। এই মামলার আসামি জাহিদুল ইসলাম জাবেদকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে ফেনী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার সিরাজুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে ফেনীর সোনাগাজীর এক কিশোরীর বিয়ে নিবন্ধন করার ঘটনা তদন্ত করতে ফেনী জেলা রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে আসামির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ ইমরান আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। জানা যায়, ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগদানা গ্রামের আবদুল মান্নানের কিশোরী মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন একই উপজেলার আলমপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম জাবেদ। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা জাহিদুল ইসলামকে আসামি করে গতবছর ১০ অক্টোবর সোনাগাজী মডেল থানায় অপহরণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এই মামলায় জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। মামলাটি এখন ফেনীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন।
পরে ফেনীর আদালতে জামিন আবেদন করেন জাবেদ। কিন্তু ওই আদালত জামিন না দেওয়ায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়। এ আবেদনের ওপর শুনানিকালে কিশোরী মেয়ের বিয়ে পড়ানোর বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। এরপর গত ৭ মার্চ কাজিকে তলব করেন হাইকোর্ট। এ আদেশে মঙ্গলবার কাজি হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন। এছাড়া পরবর্তী তারিখে আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চান। আদালত তাকে পরবর্তী তারিখে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন। তবে তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া জাবেদকে জামিন দেন উচ্চ আদালত।