শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবেনা বলে জানালেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বুধবার বিকেলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্যেও উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে টাঙ্গাইল শহরের রেজিষ্ট্রি পাড়া সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়্রা বিএনপি আগামীতে নির্বাচনে অংশ নিবেনা। দেশ আজ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। একজন ছাত্রলীগের নেতার ব্যাংকে দুই হাজার কোটি টাকা পাওয়া যায়। পৃথিবীর বড় বড় ব্যাংক এমনকি সুইস ব্যাংক বাংলাদেশের টাকায় ভরে গেছে। বড় বড় প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাচ্ছে।
সরকার ১০ টাকা কেজি চাল আর ঘরে ঘরে চাকরী দেয়ার কথা বলেছিল। কিন্ত আজ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির ফলে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সীমাহীন কষ্টে দিন পার করছে সাধারন মানুষ। আর ঘরে ঘরে বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইচ চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি।
বিএনপির ভাইচ চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট আহমেদ আযমের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারন সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন ফকির, নাসির উদ্দিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, যুগ্ম আহবায়ক হাসানুজ্জামিল শাহীন ও এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ।
এডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, আওয়ামী ক্ষমতায় আসলেই দ্রব্যমুল্যের দাম বেড়ে যায়। মানুষ দুর্ভিক্ষে পড়ে। এর কারন হচ্ছে দুর্নীতি। ৭৪’ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। সেদিন শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন মানুষ পায় সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি। বর্তমানেও দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে।
সমাবেশে যুবদলের সাধারন সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে আজ আকাশ ছোঁয়া। মানুষ প্রয়োজন মেটাতে পারছেনা। চাল, ডাল, তেল ও লবনের দাম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাড়ানো হচ্ছে। আর শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। সরকারের লোকজন এ সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বিএনপি সময়ে যমুনা সেতু নির্মান করা হয়েছিল। ছয় হাজার কোটি টাকার সেতুতে এক টাকাও বেশি খরচ হয়নি। কারন সেখানে দুর্ণীতি হয়নি। অথচ রুপপুর পারমানবিক বিদ্যু কেন্দ্র ও পদ্মা সেতু নির্মানে লাখ কোটি টাকার দুর্ণীতি হচ্ছে দুর্নীতির কারনে।