হারলে বিদায়, জিতলে ফাইনালে যেতে আরও একটি সুযোগ থাকবে।এমন কঠিন সমীকরণের এলিমিনেটর ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয় নেমে ২২ রানে ৩ উইকেট হারানো ঢাকা; শেষ পর্যন্ত তুলে ১৫০ রান।দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন ইয়াসির আলী। এছাড়া ৪৩ রান করেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
জয়ের জন্য তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন বরিশালের প্রয়োজন ১৫১ রান। আগের ম্যাচে ১৯৩ রান করে ২ রানে জেতা দলটি আজও যদি সেই ঢাকার বিপক্ষে জয় পায় তাহলে ফাইনালের স্বপ্ন টিকে থাকবে তামিমদের।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ঢাকার বিপক্ষে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই সাফল্য পান বরিশালের মেহেদী হাসান মিরাজ।এ অফ স্পিনারে বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার নাঈম শেখ। আগের ম্যাচে এই বরিশালের বিপক্ষেই ৬৪ বলে ১০৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলকে জেতাতে পারেননি জাতীয় দলের এ ওপেনার। সোমবার ফেরেন ১১ বলে মাত্র ৫ রান করে।
নাঈমের বিদায়ের পর তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে তাসকিনের করা প্রথম ওভারের প্রথম বল ডট দেন আল-আমিন।দ্বিতীয় বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। দলীয় ৬ রানে নাঈম শেখ ও আল-আমিনের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় ঢাকা।
ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নামা সাব্বির রহমান রুম্মন বোল্ড হন সোহরাওয়ার্দী শুভর স্পিনে।তার বিদায়ে ২২ রানে ৩ উইকেট হারায় ঢাকা। দলের এমন কঠিন বিপর্যয়ে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ উইকেটে ইয়াসির আলীর সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন তিনি।
দলীয় স্কোর বাড়াতে গিয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট চালিয়ে আউট হন মুশফিক। ১২.৪ ওভারে ৭২ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তিনি।তার আগে ৩০ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ৪৩ রান করেন ঢাকার এ অধিনায়ক।
মুশফিকের বিদায়ের পর ইয়াসির আলীর সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়ে ফেরেন আকবর আলী (২১)। এরপর ম্ক্তুার আলীর সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়ে আউট হন ইয়াসির আলী। তার আগে ৪৩ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৫৪ রান। তার ফিফটিতেই ৮ উইকেটে ১৫০ রান তুলতে সক্ষম হয় ঢাকা। বরিশালের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।