Wednesday, June 25, 2025
Homeমন্তব্যতালাকের মতো গর্হীত কাজ থেকে বিরত থাকুন

তালাকের মতো গর্হীত কাজ থেকে বিরত থাকুন

মোঃ রফিকুল ইসলাম

প্রত্যেক ধর্মেই সামাজিকভাবে প্রাপ্তবয়ষ্ক ছেলেমেয়েদের বিবাহ দিয়ে থাকে। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েই তারা ঘর সংসার এবং তাদের সন্তান লালন পালন করে সুখ শান্তিতে বসবাস করে থাকে। এটাই পারিবারিক বন্ধন, পারিবারিক ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং একজন অপরজনের উপর আস্থা রাখা।

আমাদের দেশে সাধারণত বিয়ের পর মেয়েদের ভরণ পোষণ ছেলেরাই বহন করে থাকে। বিয়ের পরই মেয়েরা বাবার বাড়ি ছেড়ে স্বামীর বাড়ী চলে আসে। তাদের কাছে স্বামীর বাড়ীটিই নিজের বাড়ী হিসেবে গড়ে তুলে। সন্তান প্রসবের মতো কঠিন কাজটিও মেয়েরাই গ্রহণ করে থাকে। একটা বাচ্চা প্রসব করা তার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করা হয়। সে কি বাঁচবে বা মরবে তার প্রতি কোন চিন্তা করে না। তাই ছেলেদের থেকে মেয়েরাই সংসার গোছানোর প্রতি বেশী যত্নশীল।

আমাদের সকলেরই মনে রাখতে হবে, যে মেয়েটি বিয়ের পর বাবার বাড়ী, বাবা, মা, ভাই বোনসহ বাড়ির অন্যান্য আপনজনকে ছেড়ে ছেলেটির সাথে ঘর সংসার করার জন্যই চলে আসছে। তাই তার সাথে অত্যন্ত বন্ধুসুলভ আচরণ করতে হবে। তাকে বাড়ীর অন্যান্য সদস্যদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। চালচলনে কোন অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে তাকে দেখিয়ে দিতে হবে। রান্না বান্না সংসারের কাজ কর্ম কিভাবে করতে হবে তা শিখিয়ে দিতে হবে। তবেই মেয়েটি সকলকে আপন করতে পারবে।

আরও একটি বিষয় আমাদের জানা উচিৎ, একজন মেয়ে শুধু ভাত মাছ খেতেই আসেনি। আসছে ঘর সংসার করার জন্য। এটা আল্লাহর বিধান। তাই সব ধর্মেই এটা পরিপালন করে থাকে। আমরা মানুষ। আমরা মানব জাতি। আমাদের একটা লজ্জাবোধ আছে। আমরা অন্যান্য প্রাণির ন্যায় অবাধে চলাফেরা করতে পারি না। তাছাড়া আমাদের মানব জাতির একটা সংঘবদ্ধ সমাজ রয়েছে। সমাজের ন্যায় নীতি মেনে চলতে হবে। তবেই তো আমরা মানুষ হতে পারবো।

আমাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা চেতনা থাকে। আমাদের উত্তরসুরী ছেলেমেয়ে থাকবে। তাদেরকে লেখা পড়া শিখাতে হবে। মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এটা একজন মায়ের কাছেই সম্ভব। কারণ মা ছাড়া সংসার গোছালো হবে না। আর সংসার সুন্দর সুখের করে তুলতে হলে মা ছাড়া বিকল্প কোন কিছু চিন্তা করা যায় না। একজন শিক্ষিত, জ্ঞানী আদর্শবান মা থাকা মানে ঐ সংসার সুখের হবে। প্রবাদে রয়েছে সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে। তবে প্রশ্ন থেকে যায় এই রমনীকে সুখ শান্তিতে বসবাসের সুযোগ দিতে হবে ঐ পরিবারের। আমরা যদি ঐ মেয়েটির সাথে ভালো ব্যবহার না করি তাহলে মেয়েটি সার্বক্ষণিক অগোছালো থাকবে, সংসার এবং সন্তানের প্রতি সুদৃষ্টি থাকবে না। কারণ তাকে এই সংসারে এই বাড়ীতে আপন করে নেয়া হয়নি। তাই তার মন মানসিকতা সঠিকভাবে কাজ করবে না। কাজের প্রতি তার অনিহা থাকবে। অর্থাৎ বাবা মা বিয়ে দিয়েছে বলেই সমাজের প্রতি বাবা মায়ের সম্মানের প্রতি সম্মান জানিয়ে নিরবে নিবৃতে কাজ করে যাচ্ছে। এই অসহনীয় যন্ত্রনা থেকে মুক্তির জন্যই মেয়েরা তালাকের মতো কাজটি করতে এগিয়ে আসে।

আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন “কোন লোক অজু করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর যদি সেই পবিত্রতা ভঙ্গ করে তহালে ঐ ব্যক্তির সুপারিশ করবেন না” বিষয়টি এত কঠিন হওয়ার পরও আমরা জেনে শুনে এরকম জঘন্যতম কাজটি করতে দ্বিধাবোধ করি না। তাহলে আমাদের জায়গা কাল কিয়ামতের দিন কোথায় হবে? একবার চিন্তা করে দেখুন।

আমাদের সবার খেয়াল রাখতে হবে যে, মাঝেমধ্যে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক সামান্য ঝগড়া বিবাদ বাধতে পারে আবার নিজেরাই তা সমাধান করে। মনে রাখবেন এক জায়গায় হাড়িপাতিল রাখলেও টুকটাক শব্দ হয় সেক্ষেত্রেতো আমরা মানুষ, আমাদের চাহিদা, আমাদের লোভ লালসা, আমাদের চলনে বলনে কথোপকথনে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে তাই বলে কি তালাকের মতো কঠিন পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ? নিশ্চয়ই নয়। তাহলে ধৈর্য্য ধারন করতে হবে তবেই আমাদের সব সমস্যার সমাধান হবে। ইনশাআল্লাহ।

আমাদের সমাজে ধনী গরীবের সংমিশ্রণ। আমাদের সমাজে সব মানুষ ধনী নয় আবার সব মানুষ গরীব নয়। সংমিশ্রণ রয়েছে। শিক্ষা দ্বিক্ষার সংমিশ্রণ রয়েছে। অতএব এই সংমিশ্রণেই আমাদেরকে চলতে হবে। কেউ একটু অবুঝ থাকতে পারে তাই বলে কি তাকে সমাজচ্যুত করা যাবে? না ।তাহলে ঐ মানুষটাকে নার্সিং/কাউনসিল করতে হবে, তাকে বুঝাতে হবে। তবেই আমাদের সমাজ তথা সমাজের মানুষগুলো পরিচ্ছন্ন হবে। প্রবাদে রয়েছে নিজে ভালোতো জগত ভালো। নিজেকে আগে মানুষ রুপে তৈরী করতে হবে তবেই আমাদের সুন্দর সমাজ তৈরী করা সম্ভব।

আমাদের ভিতর ও বাহির পরিস্কার করতে হবে। ঈমান মজবুত করতে হবে। আমাদের মধ্য থেকে অতিরিক্ত লোভ-লালসা দূর করতে হবে। ধনীক শ্রেণীর মতো বা পশ্চিমা বিশ্বের মতো চাল-চলন পরিহার করতে হবে। তবেই সংসার মজবুত হবে এবং কখনই ভেঙ্গে যাবে না। আর ধৈর্য্ ধারণ করতে হবে। ধৈর্য এমন একটি ফল যার সারা শরীরে কাটা! কিন্তু ফল খুব মিষ্ট মজাদার। তাই সংসার ঠিক রাখার কয়েকটি উদাহরণ উপস্থাপন করছি।

১।   স্বামীর আয়ের উপর নির্ভর করে চলতে হবে। ২।   প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত খরচ করা যাবে না।

৩।  অন্য বাড়ির ভাবীর চাল-চলন দেখে চলা যাবে না। ৪।   সাধ্যের বাহিরে কোন কিছু পাওয়ার জন্য স্বামীকে চাপ দেয়া যাবে না।

৫।  স্বামীর যৌথ পরিবারে বসবাস করতে হবে। ৬।  সোস্যাল মিডিয়ায় বেশী সময় নষ্ট না করা।

৭।   এক ঘেয়েমি মনোভাব পোষণ না করা। ৮।  সুন্দরী হয়ে থাকলে বেশী ভাব বা দেমাগ না দেখানো।

৯।  অতিরিক্ত চাহিদা থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখা।

প্রকৃত পুরুষ কখনোই নিজের স্ত্রীর প্রতি বিরুপ মনোভাব প্রকাশ করতে পারে না। মনে রাখতে হবে স্ত্রী পুরুষের পথ চলার পার্টনার তদ্রুপ স্ত্রীও জীবন সঙ্গী। তাই উভয়ই উভয়ের জন্য অপরিহার্য। একজন পুরুষ একজন স্ত্রী ছাড়া জীবনটা পরিপূর্ণ নয়। উভয় উভয়ের প্রতি সৎভাব, বিশ্বাস, ভালোবাসা থাকা চাই। তবে সুখি জীবন উপভোগ করা যায়। কখনই কারো প্রতি জবরদস্তি কিছু করা ঠিক নয়। আমাদের দেশে আইন রয়েছে নির্যাতন, ধর্ষণ যৌতুক ইতাদি আইনগুলো মেয়েদের পক্ষে। কিন্তু আজকাল মেয়েরা ছেলেদেরকে নির্যাতন করে, বিয়ের মতো পবিত্র জিনিসকে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে পুরুষকে ঠকিয়ে থাকে। সাময়িক বিয়ে করে ব্লাকমেইল করে টাকা আদায় করে।

দু’জন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী পুরুষের লিখিত সম্মতিতে সামাজিক চুক্তির মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিবাহের শর্ত হিসেবে স্বামীর আর্থিক সংগতি মোতাবেক কাবিন করা এবং ধর্মীয় বিধি ও আইন পরিপালনে কাবিনে ধার্য্যকৃত মহরানা পরিশোধ করতে হয়। ধর্ম ও আইন নারীদেরকে অধিকার দিয়েছে। অথচ আমরা তা পরিপালন করছি না। আমরা পুরুষ ও নারী উভয়ই জানতে হবে বুঝতে হবে তারা পরস্পরে কি মহান দায়িত্ব নিয়ে পবিত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে।

আজ আর আগের মতো নয়। নারীরা শিক্ষিত হয়েছে, চাকুরী করে, ক্ষেতে খামারে কাজ করে, ডিজিটাল যুগে মিডিয়ার সাথে থাকে। তারা আজ আগের তুলনায় অনেকেই স্বাবলম্বী। ইসলাম তাদেরকে সর্বোচ্চ স্থানে স্থান দিয়েছে। তাদের সাথে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা বলা, পায়ে পড়ে ঝগড়া করা এবং কথায় কথায় গায়ে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পক্ষান্তরে নারীরাও টিকটক দেখে সময় নষ্ট না করা, স্বামীর সাথে ভালো ব্যবহার করা এবং পরিবারের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। তবেই তালাকের মতো ঘৃর্নিত/নিন্দিত কাজটি থেকে বিরত থাকা যাবে। আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার ও শুনার তৌফিক দান করুন। আমিন।

আমরা রাগের বসুবর্তী হয়ে স্ত্রীর সামান্য দোষ-ত্রুটি পেলেই হুটহাট করে তালাক দিয়ে পরবর্তীতে অনুতপ্ত হেই। এইরুপ অনুতপ্তের খেচারত কি তা সবিস্তারে কোরআন হাদীসের আলোকে উল্লেখ করা করছি।

পবিত্র আল-কোরআন-সুরা আত-ত্বালাক-৬৫/১: হে নবী! তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে চাও তখন তাদেরকে তালাক দাও তাদের ‘ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে, আর ‘ইদ্দতের হিসাব সঠিকভাবে গণণা করবে।”

হালাল জিনিসের মধ্যে সর্বনিকৃষ্ট জিনিস হচ্ছে ত্বালক বা বিবাহ বিচ্ছেদ। এটি কঠিন সিদ্ধান্ত তবে স্বামী স্ত্রী উভয়ের মধ্যে দাম্পত্য সর্ম্কক বজায় রাখতে না পারলে ইসলাম বিচ্ছেদের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। তবে তালাকের শর্তসমূহ পরিপালন করতে হবে।

১।   কোন স্ত্রীর মধ্যে স্বামীর প্রতি অবাধ্যতার লক্ষণ দেখা দিলে স্ত্রীকে সদুপদেশ দিতে হবে। প্রয়োজনে শয্যা ত্যাগ করতে হবে বা শিক্ষামূলক প্রহার করতে হবে। (সুরা আন-নিসা: আয়াত-৩৪)

২।   যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদের আশঙ্কা থাকে সেক্ষেত্রে স্বামীর পরিবার থেকে একজন ও স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন সালিশ নিযুক্ত করতে হবে। তারা দু’জন সংশোধনের ইচ্চা করলে আল্লাহ তাদের উভয়ের মাঝে সামঞ্জস্য করে দেবেন। (সুরা-আন-নিসা-৩৫)

৩।  যদি তালাক দেয়া একান্তই অপরিহার্য সেক্ষেত্রে নারী যে সময়ে ঋতুমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন হবে সে সময় যৌন মিলনের পূর্বেই স্বামী তালক দিবে আর স্ত্রী তালাকে ইদ্দত তথা তিন ঋতু বা ঋতুমুক্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করবে (বাকারা:আয়াত-২৮)। মনে রাখবে এ ইদ্দতের মধ্যে যদি পুনর্মিলন ও সন্ধির সুযোগ থেকে যায় সে জন্য স্বামী স্ত্রীকে তার গৃহ থেকে বহিস্কৃত করবে না, আর স্ত্রীও গৃহ ত্যাগ করবে না। অবশ্য স্ত্রী যদি খোলাখুলি ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে তাহলে স্বতন্ত্র কথা (সুরা-আত-ত্বালাক-আয়াত-১)

৪।   স্বামী যদি স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চায় [এক বা দু’তালাকের পরে] তাহলে তাকে ইদ্দতের মধ্যে স্বাচ্ছন্দে ফিরিয়ে নিতে পারবে। এক্ষেত্রে আরও একটি সুবিধা হলো-এক তালাক বা দু’তালাকের পরে ইদ্দতের সীমা শেষ হয়ে গেলেও স্বামী তার তালাকদত্তা স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ে করতে পারবে, “নতুন করে মোহর নির্ধরণ ও স্বাক্ষীর মাধ্যমে।” মনে রাখতে হবে-অন্য পুরুষের সাথে স্ত্রীর বিবাহ দেয়ার প্রয়োজন হবে না। এ অবস্থায় স্বামী তাকে বিবাহ করতে না চাইলে স্ত্রী যেকোন পুরুষকে বিবাহ করতে পারবে।

৫।  আব্দুল্লাহ বিন উমার বর্ণিত আবু দাউদের হাদীস হতে জানা যায়, রাসুল (সঃ) ঋতু অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দিলে সে তালাক হিসেবে গণ্য করেননি। তাই কেউ তালাক দিতে চাইলে স্ত্রীর পবিত্রবস্থায় তালাক দিতে হবে।

৬।  কেউ স্ত্রীকে এক তালাক দিয়ে ইদ্দতের মধ্যে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিলে তালাক বলবৎ থাকবে। স্ত্রীর ঋতুমুক্ত অবস্থায় স্বামী দ্বিতীয় তালাক দিয়ে স্ত্রীকে ইদ্দতের মধ্যে আবার ফিরিয়ে নিতে পারবে। এক তালাক বা দু’তালাক দিয়ে স্ত্রীকে ইদ্দতের মধ্যে ফিরিয়ে নিলে তাদের বিয়ে পড়ানোর প্রয়োজন হবে না।

৭।   এক তালাক অথবা দ্বিতীয় তালাক দেয়ার পর ইদ্দত শেষ হয়ে গেলে স্বামী ইচ্ছে করলে তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ে করতে পারবে। এতে যেন স্ত্রীর অভিভাবকেরা বাধা সৃষ্টি না করে (সুরা বাকারাহ-২৩২)।

৮।  স্বামী তার স্ত্রীকে ঋতুমুক্ত অবস্থা পরপর তিন তালাক না দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তিন তালাক দিলেও বিয়ে বিচ্ছেদ হয়ে যাবে। এ অবস্থায় ঐ স্বামী-স্ত্রী আবার সরাসরি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে না। তারা পুনরায় কেবল তখনই বিয়ে করতে পারবে যদি স্ত্রীটি স্বাভাবিকভাবে অন্য স্বামী গ্রহণ করে এবং তারা পুনরায় কেবল মিলিত হয়, অতঃপর ঐ স্বামী মারা যায় বা স্ত্রীটিকে তালাক দেয় (সুরা-বাকারাহ-২৩০)।

    উল্লেখ্য তিন তালাক হয়ে গেলে প্রথম স্বামীর সাথে পুনরায় বিয়ে দিতে হলে স্ত্রীলোকটিকে অন্য পুরুষের সাথে বিয়ে দিয়ে বিবাহিত স্বামীর সাথে মিলন ঘটাতে হবে এবং সে[দ্বিতীয় স্বাম] যদি কোন সময় স্বেচ্ছায় তাকে তালাক দেয় তাহলে প্রথম স্বামী পুনরায় বিয়ে করতে পারবে।

পরিশেষে মনে রাখতে হবে নারীরা অবলা সকল সময় মাথা নিচু করে থাকে এর অর্থ এই নয় যে তারা দুর্বল। তারা রক্ত মাংসের গঠিত মানুষ। পুরুষ মানুষও মানুষ। পার্থক্য তারা মা জাতি আর পরুষেরা বাপ জাতি। অতএব পুরুষ ছাড়া স্ত্রী চলে না আবার স্ত্রী ছাড়া পুরুষ চলে না। তাই উভয় উভয়ের প্রতি সুদৃষ্টি রাখতে হবে তবেই আমাদের সমাজ, আমাদের বাসা বাড়ি থেকে ধুলিকণা, আবর্জনা দূর হবে। আমরা একটা স্বচ্ছ জাতি গঠন করতে পারবো। ইনশাআল্লাহ।

লেখকঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, পি.এস. টু মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারপারসন, ইসলামী কর্মাশিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোঃ লিঃ, ঢাকা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য