প্রয়োজন হলে দেশে ডিমের বাজার স্থিতিশীল করতে বিদেশ থেকে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আজ বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যদি আমদানি করলে দাম কমে, তবে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিম আমদানি করতে গেলে তো একটু সময় তো লাগবে। আমরা একটু দেখি কী করা যায়। যদি এমনটিই সত্যি হয় যে, ডিম আমদানি করলে পরে এটা (দাম) কমবে, তা হলে আমরা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কবে স্বাভাবিক হতে পারে, এমন প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেকেই আশাবাদী, অক্টোবরের মধ্যে হয়তো পরিস্থিতি বদলাতে পারে। এখানে কতগুলো ফ্যাক্টর তো কাজ করে। তিনি বলেন, এখন আমি জানি না পুতিন সাহেব কবে যুদ্ধ বন্ধ করবেন। এটি তো আমার হিসাবের মধ্যে নেই। সংবাদ সম্মেলনে শিগগিরই ভোজ্যতেলের দাম পুনর্নির্ধারণের কথা জানান মন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটা মন্ত্রণালয় ডিমের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে কীভাবে কমানো যায় সেই চেষ্টা করছি। তবে সব কিছু কিন্তু রাতারাতি করা সম্ভব নয়। ডিমের হালি ৫০ টাকার বেশি, খামারিরা বলছেন, মুরগি ‘কমেছে বলে’ এমনটি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটা মন্ত্রণালয় ডিমের ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করে কীভাবে কমানো যায়, সেই চেষ্টা করছি। তবে সব কিছু কিন্তু রাতারাতি করা সম্ভব নয়। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনে ৪০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকায় উঠেছে। এর আগে কখনই ডিমের দাম এতটা বাড়তে দেখা যায়নি। ডিমের সঙ্গে ব্রয়লার মুরগিও কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।