Wednesday, June 25, 2025
Homeআন্তর্জাতিকট্রাম্পের শীর্ষ ২৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চীনের নিষেধাজ্ঞা

ট্রাম্পের শীর্ষ ২৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চীনের নিষেধাজ্ঞা

সদ্যবিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে কাজ করা ২৮ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, প্রতারণা ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন। যাদের মধ্যে বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও রয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি এমন খবর দিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নতুন প্রশাসনকে সহযোগিতাও আশ্বাস দিয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশটি। এই উদ্যোগকে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে চীনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে মেয়াদের শেষ মুহূর্তে এসে পম্পেও বলেছেন, উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে চীনের নিপীড়ন গণহত্যা।

তার মন্তব্যে চীন বেশ ক্ষুব্ধ হবে, এমনটিই স্বাভাবিক বলে ধরে নেয়া হয়েছে। যদিও পম্পেওর এই মূল্যায়নে পরিপূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন বাইডেনের মনোনীত পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন। ট্রাম্পের অধীন ওয়াশিংটনের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ভালো যায়নি। বাইডেন যখন নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিচ্ছিলেন, তখন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তার ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানায়। এই পদক্ষেপকে প্রতিশোধমূলক ও অন্য যে কোনো কিছুর চেয়ে বেশি রাজনৈতিক বিবৃতি হিসেবে দেখছেন থিংকট্যাংক আটলান্টা কাউন্সিলের নিষেধাজ্ঞা বিশেষজ্ঞ ব্রিয়ান ও’টুলি।

এতে বলা হয়, পম্পেও এবং অন্যান্যরা চীনের বিরুদ্ধে দফায় দফায় বিভিন্ন উন্মত্ত উদ্যোগের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও উৎসাহ দিয়েছেন। চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মারাত্মক হস্তক্ষেপ, চীনের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত ও চীনের জনগণকে ব্যথিত আর চীন-মার্কিন সম্পর্ককে গুরুতরভাবে ব্যাহত করেছেন। এছাড়াও যাদের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখা হয়েছে, তারা হলেন, বাণিজ্য প্রধান পেটার নাভারো, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রিয়েন ও জন বোল্টন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার, জাতিসংঘের মার্কিন দূত কেলি ক্রাফট ও ট্রাম্পের সাবেক সহকারী স্টিভ ব্যানন।

এই ২৮ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা চীন, হংকং বা ম্যাকাওয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাদের সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানগুলো চীনের সঙ্গে ব্যবসাও করতে পারবে না। এ নিয়ে পম্পেওসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও কোনো বক্তব্য দেয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য