টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে টানা আট ম্যাচে হারের পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ। আফগানদের দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬১ রানের ব্যবধানে হারাল টাইগাররা।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৫৫ রান করে বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে নাসুম আহমেদের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ২০ রানে টপঅর্ডার ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে আফগানিস্তান।পঞ্চম উইকেটে নজিবুল্লাহ জাদরান ও মোহাম্মদ নবি ৩৭ রানের জুটি গড়েন। এই দুই সেট ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। এক উইকেট নেন মোস্তাফিজ আর ৩ উইকেট নিয়ে আফগানদের ১৭.৪ ওভারে ৯৪ রানে গুঁড়িয়ে দেন তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ দল।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই বিপাকে পড়ে যায় টাইগাররা। ৫ ওভারে মাত্র ২৫ রানে দুই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ও নাইম শেখের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ে নেমে সেট হওয়ার আগেই আউট হন সাকিব আল হাসান। ৬ বলে মাত্র ৫ রান করে ফেরেন সাকিব। সাকিবের মতো একই অবস্থা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। তিনি ৭ বলে ১০ রানে ফেরেন।
১০.৫ ওভারে ৮০ রানে মুনিম, নাঈম, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার পর আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা লিটন দাস। পঞ্চম উইকেটে লিটন-আফিফ যোগ করেন ৩৮ বলে ৪৬ রান। এরপর মাত্র ১৮ বলের ব্যবধানে ৪ উইকেট পতনের কারণে ১৫৫/৮ রানে ইনিংস গুটায় বাংলাদেশ।
১৫৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে নাসুম আহমেদের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হয় আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট শিকার করেন নাসুম। প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান খরচ করে শিকার করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজের উইকেট। নাসুমের একের পর এক আঘাতে বিধ্বস্ত হয় আফগান শিবির। প্রথম চার উইকেট একাই নিয়েছেন তিনি। চার ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১০ রান।
তবে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবী এবং নজিবুল্লাহ জাদরান আশা জাগিয়েও বেশি দূর এগোতে পারেননি। নবী করেছেন মাত্র ১৬ রান। আর জাদরান তুলতে পেরেছেন ২৭ রান। এছাড়া আজমতুল্লাহ ওমরজাই ২০ রানে সাজঘরে ফেরেন। আফগানদের এই তিন ব্যাটসম্যান ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের রান পেরোতে পারেননি।
নাসুমের চার উইকেট ছাড়াও সাকিব ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। আর শরিফুল ৩ ওভার ৪ বলে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
অন্যদিকে, বল হাতে আফগানিস্তানের ফারুকি ও ওমরাজাই ২টি করে উইকেট পেয়েছেন। আর রশিদ ও কায়েস একটি করে উইকেট নেন।