ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী, ভাই-বোন, বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, কন্যার ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কেন জব্দ করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতে আজ বোর্ডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
আদালতের গঠন করে দেওয়া বোর্ডের এক আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার এ আদেশ দেন বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ। তাদের এ শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।গত বছরের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে (চেয়ারম্যান) বোর্ড গঠন করেন হাইকোর্ট। বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ ও আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। আর সরকারি বেতনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর। পরে আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান জানান, ১০ ফেব্রুয়ারি কিছু গাড়ি নিলামের জন্য সুপ্রিম কোর্টের একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার এবং র্যাবের ডিজিকে বলেছে নিলামের স্থানে নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে। রাসেল তার স্ত্রী ও বাবা-মাসহ পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কেন ফিজ করা হবে না এই মর্মে শোকজ করেছে। ২ সপ্তাহের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ইভ্যালির লিগ্যাল টিমের কো-অর্ডিনেটর দাবি করে ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোডকারী নিঝুম মজুমদারকে ২ সপ্তাহের মধ্যে হাজির হতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। এক গ্রাহকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।