Saturday, December 13, 2025
Homeআন্তর্জাতিকআমেরিকা বাসীর এক‌টি অনাকাঙ্খীত ঘটনা ও আমেরিকায় আইন

আমেরিকা বাসীর এক‌টি অনাকাঙ্খীত ঘটনা ও আমেরিকায় আইন

রুবা‌য়েত হা‌ফিজ রুবু, আ‌মে‌রিকা হ‌তে

ওয়াশিংটনে ক্যাপিটাল ভবনে ৬ জানুয়ারী যে অনাকাঙখীত ঘটনা ঘটে গেল সেটা ছিল পুরো আমেরিকা বাসীর জন্য অনাকাঙখীত সেটা বলব না। কিছু কিছু মানুষের জন্য কাঙ্খিত। যারা ঘটনাটির সাথে জরিত তাদের কথা বলছি। এই রকম Arrogant,Desperate মানুষ প্রতিটা দেশেই থাকে।আমি একশত ভাগ বিশ্বাস করি এই ঘটনার সাথে জরিত প্রতিটা মানুষকে আইনের আওতায় নিয়ে আশা হবে।

আমেরিকায় আইন কিভাবে প্রোয়গ করা হয় তার কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা আমি আমার আজকের লেখায় আপনাদের সাথে শেয়ার করব । ভবন থেকে দুই ব্লক দূরে একটি ট্রাক পার্ক করা ছিল।আলাবামা রাজ্যের এক ব্যাকতির পার্ক করা ওই ট্রাকে ১১ টি হাতে তৈরি বোমা,একটি অ্যাসলট রাইফেল ও একটি হ্যানডগান ছিল।সহিংসতা শুরুর আগে এক ব্যাকতি ক্যাপিটাল ভবনের দিকে অ্যাসলট রাইফেল তাক করে ধরেন।সেই ব্যাকতি হাউজ স্পিকার ন্যানসি পেলোসিকে গুলি করতে চায়।ব্যাপারটা কত ভয়ানক। সেদিন পুলিশ তাদের সর্বোচ্চ প্রফেশনালিজম দেখিয়েছে। খুব ঠান্ডা মাথায় সব কিছু আয়ততে এনেছে।

১.হসপিটাল প্রতিটা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাথে কোননা কোন ভাবে জরিয়ে আছে। তাই আমার পারিবারিক ডাক্তারের চ্যামবারে রেগুলার চ্যাকাপের জন্য বসে ছিলাম। চ্যামবারে ডুকেই দেখলাম একজন বিশাল দেহধারী মহিলা উচ্চ স্বরে রিসিপশনিসট দের সাথে কথা বলছে। ডাক্তার আসতে দেরি করছে কেন সেই জন্য ডাক্তার কেও গালি গালাজ করছে। ভিতর থেকে তাকে নিচু স্বরে কথা বলার জন্য বলা হচ্ছে। কিন্ত সে কারো কথাই শুনছে না।কিছুক্ষন পর আমি লক্ষ করলাম রিসিপসন রুমে কোন লোক নেই। আমি আর আমার মেয়ে বসা। পাসে চারজন পুলিশ দাঁড়ানো। পুলিশ প্রথমে কি সমস্যা জানতে চাইল এবং নিচু স্বরে কথা বলতে বলল।কিন্ত সে পুলিশের কথাকে তেমন গুরুত্ব দিলোনা।পুলিশ তার কাছে আইডি চাইল তাও দিচ্ছে না। আমি লক্ষ করলাম পুলিশ রুমের ভিতর চেয়ার টি টেবিল কোনটা কোন পজিশনে আছে সেটা লক্ষ করছে। মহিলা পুলিশ ছিল একজন, সে তার কলার ধরল এবং অন্য পুলিশরা সহ তাকে নিচে ফেলে দিল। সে তখন একটি টি টেবিলের উপর পরল।এবং টেবিলটার কাঁচ চুরন বিচুরন হয়ে গেল।আমি তখন পাশের রুমে গিয়ে গ্লাসের ভিতর দিয়ে দেখতে থাকলাম।হঠাৎ করে বিকট একটা শব্দ পেলাম প্রথমে মনে করেছিলাম গুলির শব্দ। কিন্ত না সেটা ছিল চেতনা নাসক ইনজেকশন ।কারন ওই মহিলা ছিল খুবই শক্তি শালী।এবং তার ঘারটাকে ফ্লোরের সাথে চেপে ধরা হল।তাকে ধরে গাড়িতে উঠানোর সময় লিফটের কাছে সে পরে যায় এবং বলতে থাকে আমাকে পুরুষ পুলিশ কেন ধরছ।তখন ওখানে থাকা তার সাথের লোকজন তার পক্ষ নিয়ে পুলিশের সাথে আরগু করতে থাকে। পুলিশ বার বার তাদেরকে সামনে আগাতে নিষেধ করে।এবং তাদের মধ্যে একজন সবাইকে শান্ত হতে বলেন। একজন বয়জেষট মহিলা সেখানে উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে গিয়ে সেন্সলেস হয়ে যায়। ব্যাপারটা ছিল সামনা সামনি খুবই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। ওই সময় ঘটনাটা ভিডিও করে ফেইস বুকে পোষট করলে হয়ত অন্যরকম কিছু হয়ে যেত। কিন্ত যে কোন কিছুর বিনিময়ে তারা হসপিটালকে নিরাপদ রাখবেই। সেখানে উচ্চ স্বরে কথা চলবে না।

২.আমি একদিন আমার এক বন্ধুর দোকানের পিছনে বসে কথা বলছিলাম। তখন একজন বাঙালী ব্যাকতি তার ওয়াইফকে নিয়ে দোকানে ডুকল কেনা কাটার জন্য,তার গাড়ীটি তখন বাইরে স্টারট দেওয়া ছিল গরম রাখার জন্য। সে বাইরের দিকে তাকিয়ে বলল আমার গাড়িটি তো নিয়ে যাচ্ছে। সে পিছন পিছন কিছুক্ষন দৌড়ালো।কিন্ত এভাবে কি আসামী কে ধরা যায়!দোকান থেকে পুলিশ কে কল করা হল।সাথে সাথে পুলিশের দুটো গাড়ি প্রচন্ড গতিতে বের হয়ে গেল।কিছুক্ষন পর পুলিশের একটি গাড়ী ফিরে আসে।গাড়ীর মালিকের কাছ থেকে পুলিশ তথ্য নিতে থাকে।এবং ওয়াকি টকিতে কথা বলতে থাকে এবং বলে আমরা মনে হয় গাড়িটি পেয়ে গেছি।ওই গাড়ী ছিনতাই কারী বিপদ বুজতে পেরে গাড়িটি একটি গ্যাস স্টেশনের কাছে রেখে চলে যায়। পুলিশের ভূমিকাটা ছিল প্রশংসনীয়।

৩.আমার বাসার আসবাবপত্র গুলো ফিটিংস করার পর কাগজের বড় বড় বক্স গুলো ডেলীভারি ম্যানদের গাডীতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল । কিন্তু গাডীতে তেমন কোন যায়গা না থাকাতে তারা বলল,বক্স গুলো পিছনের এলিতে রেখে যাই।সেগুলো রাখতে গিয়ে তারা জায়গা বেশী নিয়ে একটু অনিয়ম করে রেখে যায়।কিন্ত সিটির লোকজন যখন ময়লা গুলো নিয়ে গেছে কিন্ত বক্স গুলো নেয়নি দেখলাম আমি আর আমার নেইভার মিলে আবার সুগোলো ভিতরে নিয়ে আসি। কিন্ত ভূল হয়েছিল তখন ছবি তুলে সিটি অফিসে নিয়ে দেখালে আর সমস্যা হত না।কিছুদিন পর সিটি থেকে আমাকে একটি চিঠি দেয় আমাকে একশ ডলার জরিমানা করা হল।এগুলো এভাবে রাখার জন্য।

আমি কোর্টে আপিল করি। আমাকে জজের সাথে জুম মিটিং করার জন্য কোর্ট ডেট দেয়া হয়।সঠিক সময়ে আমি জজের সাথে জুম মিটিংয়ে এটেন করি এবং জজকে বলি ওগুলো নিয়ে যায়নি তাই আমিত সেগুলি নিয়ে এসছি। দুইবার বলার পর জজ আমাকে বলল তুমি কি আইনকে সন্মান কর? আমি বললাম অবশ্যই সন্মান করি।জজ বলল ওগুলো এভাবে রাখার জন্য একশ ডলার এবং ঠান্ডা আসার সাথে সাথে তোমার পিছনের শাক সবজির বাগান পুরোপুরি পরিস্কার না করার জন্য একশ ডলার জরিমানা করা হল। আমি আপিল করলাম একশ ডলার যাতে আমাকে মারছি করে সেই জন্য। জজ আরো একশ ডলার যোক করে দুইশ করল। হায়রে মছিবত।এভাবেই আমেরিকায় আইনকে সর্ব ক্ষেত্রে এপলাই করা হয়। আর জনগনও সেটা মানতে বাধ্য। সবার জন্য একই রকম ভাবে প্রযোজ্য ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য