Sunday, June 1, 2025
Homeআন্তর্জাতিকআমাদের হেনস্থা করা হচ্ছে: ইভাঙ্কা ট্রাম্প

আমাদের হেনস্থা করা হচ্ছে: ইভাঙ্কা ট্রাম্প

কর চুরি মামলায় হেনস্থা করার অভিযোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প।

এক টুইট বার্তায় ইভাঙ্কা বলেন, ‘পরিষ্কারভাবেই আমাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। নিউনিয়র্ক ডেমোক্র্যাটদের তদন্ত পরিষ্কারভাবেই রাজনীতি প্রভাবিত। আমরা যদি কর সুবিধা পেয়েও থাকি তা বেআইনি পথে হয়নি।’ খবর সিএনএন ও ফক্স নিউজ।

খবরে বলা হয়, ট্রাম্পকন্যা ইভাঙ্কার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ৭ লাখ ৪৭ হাজার ডলার কর চুরি করেছেন।  তবে এ ব্যাপারে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল বা ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠান কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

এদিকে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি ডলার কর ফাঁকির মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষ।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভুয়া রাইট-অফ দেখিয়ে এই অর্থ ফাঁকি দেয়া হয়েছে। রাইট-অফ বলতে এমন কাজ বোঝায়, যার মাধ্যমে আইনিভাবেই কর কমানো যায়। এই তদন্তের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস এই তদন্ত পরিচালনা করছে। তবে কর ফাঁকির এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের সংগঠনের জেনারেল কনসাল অ্যালান গারটেন টাইমসকে বলেন, ‘যা হয়েছে পুরোপুরি নিয়ম মেনে হয়েছে। আমরা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও আইনের বিধান ছাড়া কিছুই করিনি।’

এ ব্যাপারে প্রথম অভিযোগ করে নিউইয়র্ক টাইমস। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি জানায়, রাইট-অফের নামে ২৬ মিলিয়ন ডলার কর ফাঁকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি কনসালটেন্ট ফির নামে এসব রাইট-অফ দেখিয়েছেন।

আর নভেম্বরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নতুন প্রেসিডেন্ট পেয়েছে। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় হেরে গেছেন ট্রাম্প। তবে প্রেসিডেন্টের আসনটি হারিয়ে ট্রাম্প শুধু তার ক্ষমতা হারাননি, আরও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন তিনি। শুধু তাই নয়, ক্ষমতা ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে কারাগারে যেতে হতে পারে বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের চার বছরে শাসনামলে হওয়া কয়েকটি কেলেঙ্কারি প্রকাশ পেয়েছে যার জন্য তাকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার পর ফৌজদারি বিচারের পাশাপাশি একটি কঠিন আর্থিক পরিস্থিতির সম্মুখীন করতে পারে। কারণ প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার বিরুদ্ধে সরকারি পদক্ষেপের জন্য মামলা করা যায়নি। তাই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অপসারণের পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরকারি মামলা পরিচালিত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। কিন্তু ক্ষমতা ছাড়ার আগেই তার বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়ে গেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য