এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছিনতাই করা ৪৫ লাখ টাকা দিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ ও ঋণ পরিশোধ করেছে তারই পার্টনার ছিনতাইকারী সুলতান ও তার সহযোগীরা। রাজধানীর সদরঘাট এলকায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সময় টিভির প্রতিবেদন
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাজধানীর সদরঘাটে ফিল্মি স্টাইলে টাকার ব্যাগ ছিনতাই করে দৌড়ে পাল্লাচ্ছিলেন সালাউদ্দীন আহমেদ তন্ময়। এর আগে তন্ময় বারবার ফোনে কথা বলছেন। তাকে অনুসরণ করে আরো কয়েকজন। পুলিশ দেড়শোর বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বিশ্লেষণ করে তাদের চিহ্নিত করে।
ওই ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড সুলতান। ২ বার ব্যর্থ হয়ে তৃতীয়বার ছিনতাইয়ে সফল তিনি। পল্টনের পলওয়েল মার্কেটের ব্যবসায়ী সজিব আহমেদ কেরানীগঞ্জ থেকে টাকা নিয়ে আসছিলেন পল্টনে। পথে সদরঘাটে ঘটে ছিনতাইয়ের এ ঘটনা।
টাকার মালিক সজিব আহমেদ বলেন, ‘কালেকশনের টাকা নিয়ে ওরা এপারে আসছিল দোকানের উদ্দেশে। তারপর দুজন প্রফেশনাল পুলিশ স্টাইলে রিকশায় তুলে ফেলে। ওকে নিয়ে বাদামতলীর দিক চলে যায় আর ছিনতাইকারীরা ব্যাগ নিয়ে চলে যায়।’
একটি ফোন কলের সূত্র ধরে মূল হোতা সুলতান এবং পারভেজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১২ অক্টোবর বাকি পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ বলছে, সুলতান এই ছিনতাইয়ের ১১ লাখ টাকা দিয়ে নিজের ঋণপরিশোধ করেছে, এরমধ্যে ১৮ লাখ টাকা দিয়ে পারভেজ, তুষার মাসুম চলে যায় কক্সবাজার প্রমোদ ভ্রমণে। বাকি টাকা নেয় অন্য সদস্যরা। পুলিশ বলছে, পেশাদার ছিনতাইকারী না হলেও পেশাদারিত্ব রেখেছে ছিনতাইয়ে।
ডিএমপি লালবাগ বিভাগের উপ কমিশনার বিল্পব বিজয় তালুকদার বলেন, ‘তারা কিন্তু পুরো ছিনতাইয়ে কোনো অস্ত্র ব্যবহার করেনি। টাকার মালিকের সাথে পরিচয় ছিল। ২ মাস ধরে তাদের ফলো করে করেছে। এর আগেও ছিনতাইয়ের ২ বার চেষ্টা চালিয়েছে। এই টাকার মধ্যে ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ।
মোটা অংকের টাকা পরিবহনে সতর্কতার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার আহ্বান পুলিশের।