রেকর্ড দিয়েই বছর শুরু করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। একের পর এক সফলতার পালক যুক্ত করে চলেছেন তিনি। বুধবার রাতে ইতিহাসের চূড়ায় উঠে গেছেন এ পতুর্গিজ সুপারস্টার। ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার একমাত্র মুকুট এখন রোনাল্ডোর মাথায়। ইতালিয়ান সুপার কাপে বুধবার রাতে নাপোলিকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে জুভেন্টাস। ম্যাচের ৬৪ মিনিটের মাথায় দলের প্রথম গোলটি করে ক্লাব ও জাতীয় দলের জার্সিতে ৭৬০টি গোলের মালিক হলেন সিআর সেভেন।এর দুই ম্যাচ পরই সফলতার চূড়ায় উঠেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। একনজরে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ গোল, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ৭৬০, জোসেফ বাইকান ৭৫৯, পেলে ৭৫৭, লিওনেল মেসি ৭৪২, রোমারিও ৭৩৪, (তথ্যসূত্র ডেইলি মেইল ও মার্কা)
বছরের শুরুতেই ফুটবল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা ব্রাজিলীয় কিংবদন্তি পেলেকে (৭৫৭) পেছনে ফেলেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এর পর গত ১০ জানুয়ারি সিরিআয় সাস্সুয়োলোর বিপক্ষে গোল করে ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা জোসেফ বাইকানের রেকর্ডে ভাগ বসান সিআর সেভেন। এতে করে চেকোস্লাভাকিয়া কিংবদন্তি জোসেফ বাইকানের ৭৫৯ গোলকে ছাপিয়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার সিংহাসনের একক মালিক রোনাল্ডো। এ অনন্য রেকর্ড গড়তে ১০৪২ ম্যাচ খেলেছেন ৩৫ বছর বয়সী এ পর্তুগিজ তারকা।
২০০২ সালে স্বদেশের ক্লাব স্পোর্তিং লিসবনের হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ারে পথচলা শুরু করেন আধুনিক ফুটবলের এ দিকপাল। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ক্লাব ফুটবলে করেছেন ৬৫৮ গোল। আর জাতীয় দলের হয়ে ১৭০ ম্যাচ খেলে ১০২ গোল করেছেন তিনি।সেই হিসাবে ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে গড়ে প্রতি মৌসুমে ৪২টি করে গোল করেছেন রোনাল্ডো।
বুধবার মাপেই স্টেডিয়ামে নাপোলির বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে পারেনি জুভেন্টাস। ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো গোল হয়নি। নাপোলিকেই বেশি আক্রমণে উঠতে দেখা গেছে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে লিড এনে দেন জুভেন্টাসের সেরা তারকা রোনাল্ডো। ৬৪তম মিনিটে ফেদেরিকো বের্নারদেস্কির কর্নারে বল নাপোলির ডিফেন্ডার বাকাইয়োর গায়ে লেগে রোনাল্ডোর পায়ের সামনে চলে আসে। অরক্ষিত পোস্টে অনায়াসে সে বল জড়িয়ে দেন তিনি।
এর পর নির্ধারিত ৯০ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি দুদলের কেউই। অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ডান পায়ের নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড মোরাতা। ফলে জুভেন্টাস ২-০ গোলের ব্যবধানে জয় পায়।